ত্রিপুরায় বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে নির্বাচনী বোঝাপড়ার একটি 'নৈতিক ভিত্তি' আছে বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার (Manik Sarkar)। একইসঙ্গে, তিনি বলেন, 'ফ্যাসিবাদী শাসককে ক্ষমতাচ্যুত করতে প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি দল জোট বাঁধায় ভয় পাচ্ছে বিজেপি।'
সোমবার, ধলাই জেলার সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রে এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেন, 'বিজেপি এখন ভাবছে, কীভাবে তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল হাত মিলিয়েছে। তারা নির্বাচনী সমঝোতার নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। কিন্তু বাস্তবতা হল, জনগণ ফ্যাসিবাদী শাসককে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে চায়।'
প্রবীণ এই সিপিআই(এম) নেতা অভিযোগ করেন, 'গত পাঁচ বছরে গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরেছে বিজেপি। তাই, গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে এই জোট গড়ে উঠেছে।'
তিনি বলেন, 'সিপিআই (এম) এবং কংগ্রেস - দুই দলই গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য একে অপরকে সাহায্য করছে। দুই দলের মধ্যে নির্বাচনী সমঝোতার একটা নৈতিক ভিত্তি আছে। দেশজুড়ে 'বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও' যে শ্লোগান উঠেছে, তা ত্রিপুরাতে ঝড় তুলবে।'
মানিক সরকার দৃপ্ত কন্ঠে বলেন,'আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় অনিবার্য। মনে রাখতে হবে, ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পাঁচ শতাংশেরও কম ভোট পেয়েছিল বিজেপি।'
তিনি বলেন, '২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজেপি ও তাঁদের জোটসঙ্গী আইপিএফটি (IPFT) প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। ২০১৩ সালের নির্বাচনে ৪১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল কংগ্রেস। আর, ৫ বছর আগে বিজেপির কাছে প্রায় ৩৯ শতাংশ ভোট হেরেছিল কংগ্রেস। অন্যদিকে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৫-৬ শতাংশ হারায় বামপন্থীরাও। কিন্তু, এবার তা আর হবে না।'
তিনি দাবি করেন, আদিবাসী ভোট নিয়ে যে আইপিএফটি (IPFT) 'বিজেপিকে সহায়তা করেছিল', তারাও নিজেদের জমি হারিয়েছে। তিনি বলেন, 'কোথায় বিজেপির ভোট? এখানে দলের প্রচারে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কিন্তু তা সফল হবে না।'
উল্লেখ্য, ৬০ আসন বিশিষ্ট ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি। ভোট গণনা ২ মার্চ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন