দরজায় কড়া নাড়ছে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের লক্ষ্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দেশের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। আগামী লোকসভা নির্বাচনের জন্য উত্তরপ্রদেশে একাধিক ছোটো দলের সঙ্গে নির্বাচনের আগেই জোট গড়তে তৎপর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিশেষ করে ছোটো ছোটো রাজনৈতিক দল, যাদের নির্দিষ্ট এলাকায়, নির্দিষ্ট জাতি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রভাব আছে তাদের সঙ্গেই জোট গড়ার পথে এগোনোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় আসন সংখ্যার বিচারে যথেষ্ট শক্তিশালী হলেও লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের শক্তি আরও বাড়িয়ে নিতে চাইছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই আপনা দল (এস) এবং নিষাদ পার্টির সঙ্গে জোট থাকলেও বিজেপি নেতৃত্ব চাইছে আরও ছোটো ছোটো দলকে এই জোটে নিয়ে আসতে। এই লক্ষ্যেই জোট হয়েছে সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি (এসবিএসপি)-র সঙ্গে।
২০১৭ সালে এসবিএসপি বিজেপির জোটসঙ্গী থাকলেও ২০১৯-এ এই দলের মধ্যে তিক্ততা শুরু হয়। ইতমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে দেখা করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিয়েছেন এসবিএসপি প্রধান ওম প্রকাশ রাজভর। রবিবার সকালে রাজভর এক ট্যুইট বার্তায় জানিয়েছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে এসবিএসপি এনডিএ জোটের পক্ষে নির্বাচনে লড়াই করবে। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলে এসবিএসপি-র যথেষ্ট প্রভাব আছে।
এসবিএসপি অখিলেশ যাদবের জোট ছাড়াও কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়তে হবে অখিলেশ যাদবকে। এই মুহূর্তে অখিলেশ যাদবের আর এক জোটসঙ্গী আরএলডি-র সঙ্গেও কিছুটা দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী লোকসভা নির্বাচন সম্পর্কে আরএলডি-র বক্তব্য, বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই করতে গেলে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে সেই লড়াই লড়া সম্ভব নয়। কারণ সারা দেশে কংগ্রেসের প্রভাব আছে। যদিও একথা মানতে রাজি নন সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব। অবিলম্বে এই বিষয়ে মীমাংসা না হলে আগামী দিনে অখিলেশের হাত ছেড়ে কংগ্রেস শিবিরে যোগ দিতে পারে আরএলডি।
জাতীয় স্তরে বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশে শক্তিহীন কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলে কংগ্রেসের সঙ্গে মায়াবতীর বিএসপি-র জোট হবার কথা শোনা গেলেও তার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্বে এখন আছেন ব্রিজলাল খাবরি, নাসিমুদ্দিন সিদ্দিকি এবং নকুল দুবে। যারা সকলেই অতীতে বিএসপি নেতা ছিলেন। মায়াবতীর পক্ষে এঁদের নেতৃত্ব মেনে নেওয়া কার্যত অসম্ভব।
যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে কংগ্রেস-বিএসপি-আরএলডি-র জোট রাজ্যে নতুন ভোট সমীকরণ গড়ে তুলতে পারে। যা বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জের কারণ হতে পারে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন