সমাজবাদী পার্টির নির্বাচনী জোটসঙ্গী জয়ন্ত চৌধুরীর আরএলডি-র কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পর এবার বিরোধী শিবিরে ফাটল ধরাতে তৎপর হল বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশে এখন প্রতিদিনই যুযুধান দুই পক্ষ পরস্পরকে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটছে। সম্প্রতি মুজফফরনগরে প্রচারে এসে অমিত শাহ বলেন, অখিলেশ যাদব এবং জয়ন্ত চৌধুরীর জোটের আয়ু ভোটের গণনা পর্যন্ত।
এর আগে জয়ন্ত চৌধুরীকে বিজেপির পক্ষে যোগ দেবার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলো বিজেপি। যে আমন্ত্রণ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে জয়ন্ত চৌধুরী জানিয়েছিলেন, সমাজবাদী পার্টি এবং আরএলডির জোট দৃঢ় এক প্রাক নির্বাচনী জোট। চৌধুরী আরও বলেন, কে তাদের আবেদনে সাড়া দিয়েছেন। একবার ভেবে দেখা উচিৎ ঠিক কী অবস্থায় বিজেপি আমাদের তাদের পক্ষে যাবার অনুরোধ জানাচ্ছে।
২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ১০৮ আসনের মধ্যে বিজেপি জয়ী হয় ৮৩ আসনে। যদিও এবার বিজেপির পক্ষে সেই আসন সংখ্যার ধারেকাছে পৌঁছানোর সম্ভাবনা কম। কারণ সাম্প্রতিক কৃষক আন্দোলন এবং তাতে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো জয়ন্ত চৌধুরী এবং আরএলডি-র প্রতি মানুষের সহানুভূতি বেড়েছে। অন্যদিকে দীর্ঘ ১ বছর ব্যাপী চলা কৃষক আন্দোলনের পর বিজেপির প্রতি তীব্র ক্ষোভ এই অঞ্চলে তাদের সমর্থন অনেকটাই কমাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
গতকাল অমিত শাহ আরও বলেন, আরএলডি যদি ভালো ফলাফলও করে তাহলেও সমাজবাদী পার্টি তাদের সরিয়ে দেবে। এই প্রসঙ্গে শাহ বলেন, অখিলেশ যাদব এবং জয়ন্ত চৌধুরীর জোটের আয়ু ভোট গণনা পর্যন্ত। যদি সমাজবাদী পার্টির সরকার গঠিত হয় তখন আজম খান ক্ষমতায় বসবে এবং জয়ন্ত চৌধুরীকে বের করে দেওয়া হবে। তাদের প্রার্থী তালিকাই বলছে এই ঘটনাই আগামীদিনে ঘটবে।
এদিনই অমিত শাহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলকেও আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, যখন বহেনজীর দল ক্ষমতায় আসে তারা শুধু একটা জাতির কথাই বলে, যখন কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে তারা শুধু পরিবারের কথাই বলে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন