আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে প্র্যাকটিস ম্যাচ বলেই ধরা হচ্ছে। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যোগীরাজ্যর ফলাফল। কিন্তু পাঁচ রাজ্যের মধ্যে উত্তরপ্রদেশেই বিজেপির জয়ে সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন প্রবীণ তোগাড়িয়া।
প্রায় একমাস ধরে নির্বাচন হচ্ছে উত্তরপ্রদেশে। এখনও এক দফার নির্বাচন বাকি। তার আগেই এমনই ভবিষ্যতবাণী করলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি প্রবীণ তোগাড়িয়া। উল্লেখ্য ১০ মার্চ উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে।
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের ফলাফল কতটা গেরুয়া শিবিরের পক্ষে যাবে, তা নিয়ে সন্দিহান প্রবীণ তোগাড়িয়া। বিজেপির কাছে জয়লাভ করা চ্যালেঞ্জের বলে মনে করছেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, কৃষকরা ক্ষতিপূরণ চান। উৎপাদিত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য তাঁরা যাতে পান, সেই আইনি সুরক্ষা চাইছেন তাঁরা। কিন্তু বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার সেই ব্যবস্থা করেনি। এর প্রভাব উত্তরপ্রদেশ ভোটের ওপর পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি।
তাঁর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, সংশোধিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলনের প্রভাব ভোটের উপর পড়তে চলেছে। কৃষকরা বিজেপির প্রতি অসন্তুষ্ট, তাই উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ফল ভালো হবে, এমনটা আশা করা যায় না।
পাশাপাশি ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরানো নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকারও সমালোচনা করেন প্রবীণ তোগাড়িয়া। তিনি জানান, ‘যখন জানা গিয়েছিল রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাত শেষপর্যন্ত হতেই চলেছে, তখন প্রথমেই সেখানকার ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনা উচিত ছিল। ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই কাজ সেরে ফেলা উচিত ছিল। ইউক্রেনে বোমার আঘাতে কর্নাটকের একজন ছাত্রের যেভাবে মৃত্যু হল, তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
দেশের ডাক্তারি পড়ার আসন সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, দেশে সরকারি কলেজে ডাক্তারি পড়তে পারেন মাত্র ৪৫ হাজার জন। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। চাহিদার তুলনায় আসন সংখ্যা কম। ফলে অনেক ভারতীয়ই বিদেশে ডাক্তারি পড়তে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন