উত্তরপ্রদেশের দলিত নেতা তথা ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ ঘোষণা করলেন বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গোরক্ষপুরে (শহর) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। জানা যাচ্ছে, তাঁকে সমর্থন করতে পারে কংগ্রেস। সমাজবাদী পার্টি তাঁকে সমর্থন করবে কিনা এখনও স্পষ্ট হয়নি। প্রসঙ্গত, সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট চেয়ে অখিলেশ যাদবের সাথে দেখা করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভেস্তে যায় জোট প্রক্রিয়া।
উল্লেখ্য, গত বেশ কয়েকদিন উত্তরপ্রদেশ সহ জাতীয় রাজনীতিতে জল্পনা তৈরি হয়েছিল নির্বাচনে চন্দ্রশেখর আজাদের সাথে জোট করে লড়বেন অখিলেশ যাদব। এমনকি যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে চন্দ্রশেখর আজাদকে প্রার্থী করা হবে, এমন গুঞ্জনও শোনা গিয়েছিল। আসন ভাগাভাগি আলোচনায় বসেছিলেন আজাদ এবং অখিলেশ।
সাংবাদিকদের সামনে আজাদ বলেন, “অখিলেশ জী আমাদের অপমান করেছেন। গোটা বহুজন সমাজকে অপমান করেছেন। শেষ পর্যন্ত আমি যা বুঝতে পেরেছি, অখিলেশ জী দলিত নেতাদের তাঁর জোটে চান না। তিনি কেবল দলিতদের ভোট চান।” সমাজবাদী পার্টির সাথে জোট করবে না তাঁর রাজনৈতিক দল ‘আজাদ সমাজ পার্টি’। গত শনিবার মিডিয়ার সামনে চন্দ্রশেখর আজাদ নিজেই একথা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতী। ভোট প্রচারে প্রায় দেখাই যাচ্ছে না তাঁকে। বিএসপি-র সাধারণ সম্পাদক সতীশ চন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না মায়াবতী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে সাহারানপুরে দলিত ও উচ্চবর্ণের ঠাকুরদের সংঘর্ষের পরে ‘ভীম আর্মি’ পরিচিতি পায়। সংঘর্ষের পর চন্দ্রশেখর আজাদকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাকে জামিন দেয়। তারপর উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (NSA) অধীনে গ্রেপ্তার করে। ১৬ মাস জেলে থাকার পর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি মুক্তি পান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন