উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে পারেন বরখাস্ত চিকিৎসক ডাঃ কাফিল খান। গোরক্ষপুরের এই শিশু চিকিৎসককে যোগী আদিত্যনাথ সরকার বরখাস্ত করে। এই প্রসঙ্গে ডাঃ কাফিল খান জানিয়েছেন, একাধিক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে তাঁকে গোরক্ষপুর কেন্দ্র থেকে যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুরোধ করা হয়েছে।
ডাঃ খান বলেন, বহু রাজনৈতিক দল আমাকে এই বিষয়ে অনুরোধ করেছে। আমি এখনও মনস্থির করিনি। তবে আমি যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি।
ডাঃ কাফিল খানের আগেই আজাদ সমাজ পার্টির প্রেসিডেন্ট চন্দ্রশেখর আজাদ রাবণ ওই কেন্দ্রে যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। যে প্রসঙ্গে ডাঃ খান জানিয়েছেন, চন্দ্রশেখর আমার বন্ধু। আমরা একসঙ্গে জেলে ছিলাম। আমি ওর সঙ্গে কথা বলবো।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে গোরক্ষপুর হাসপাতালে ৬০ শিশুর এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের মুখে পড়েন ডাঃ কাফিল খান। তদন্ত কমিশনের সামনে তিনি “দুর্নীতি এবং অবহেলার” থেকে নির্দোষ প্রমাণিত হলেও গত বছর তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
২০১৭ সালে গোরক্ষপুরের বি আর ডি মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেনের অভাবে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় প্রথম ডাঃ কাফিল খানের নাম সামনে আসে। ওই সময় তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেশ কিছু অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করে শিশুদের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা গেছিলো। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে ডাঃ কাফিল খান এবং ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে সকলেই জামিনে ছাড়া পান।
এরপর ডিসেম্বর ১০, ২০১৯-এ আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে সিএএ বিরোধী এক সভায় তাঁর বক্তৃতার কারণে তাঁকে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে এনএসএ-তে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ১ সেপ্টেম্বর ২০২০ এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে তিনি ছাড়া পান। এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছিলো – ডাঃ খানের মন্তব্যে কোনো হিংসা ছড়ায়নি।
- with IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন