দলের প্রতি তাঁর আস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কোনও জায়গাই নেই। একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবেই তাঁর পরিচয়। তাই সবাই ভেবেছিলেন, তিনি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট পাবেনইনি। তিনিও যথেষ্ট আশাবাদী ছিলেন। প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু টিকিট পেলেন না। আশাহত হলেন। যোগীরাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় কেঁদে ভাসালেন বহুজন সমাজ পার্টি-র নেতা আরশাদ রাণা। অভিমানে দলের বিরুদ্ধে মুজাফ্ফরনগরে থানায় অভিযোগ করলেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-র কাছে তিনি জানান, দল দুই বছর আগে তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেয় যে, মুজফ্ফরনগরের ছত্রসল কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী করা হবে। কিন্তু দল প্রতিশ্রুতি রাখেনি। উল্টে টাকা দাবি করা হয়। তাঁর দাবি, এক প্রবীণ বিএসপি নেতা টিকিটের বদলে তাঁর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা দেন তিনি। কাঁদতে কাঁদতেই হুঁশিয়ারি দেন, সুবিচার না পেলে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করবেন।
আরশাদ রাণা জানান, ২৪ বছর ধরে তিনি বিএসপির সঙ্গে যুক্ত। ২০১৮ সালেই তাঁকে ২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ছত্রসলের প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। তিনি বলেন, 'আমি নির্বাচনী প্রচারের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছিলাম। আমার নামে পোস্টার-ব্যানারও ছাপানো হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন এগিয়ে আসতেই দল আমায় উপেক্ষা করা শুরু করে। আমি জানতে চাই যে আমায় প্রার্থী করা হচ্ছে কিনা, কোনও জবাব দেওয়া হয়নি।'
দলের তরফে অবশ্য কেউ কিছু বলেনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিএসপি নেত্রী মায়াবতী টুইট করে জানান, ছত্রসল কেন্দ্র থেকে সালমা সইদকে প্রার্থী করা হচ্ছে। এরপরই দুঃখে তিনি ফেসবুকে গোটা ঘটনা তুলে ধরেন। কোতওয়ালিতে নিজের সমর্থকদের নিয়ে গেলে বিএসপি নেতারা তাঁকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে জানা গিয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন