উত্তরপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এবং রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরএলডি)-এর আসন ভাগাভাগি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেল৷ সূত্রের মতে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লখনউতে আরএলডি সভাপতি জয়ন্ত (সিং) চৌধুরীর সঙ্গে এসপি সভাপতি অখিলেশ যাদবের বৈঠকে আরএলডিকে ৩৬টি আসন ছাড়তে সম্মত হয়েছেন অখিলেশ। যদিও এর মধ্যে ছ’টি আসনে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীরা আরএলডি-র প্রতীকে লড়বেন।
এর আগে ২০১৮ সালের লোকসভা উপনির্বাচনে কাইরানা কেন্দ্রেও একইরকম ভাবে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী তাবাসসুম হাসান আরএলডির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করে এক এসপি নেতা জানিয়েছেন, "এই পদক্ষেপ ভাল কাজ করে কারণ দুই দলের ক্যাডাররা প্রার্থীর সাথে জড়িত থাকার অনুভূতি অনুভব করে।"
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, RLD পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে অনেক ভালো অবস্থায় আছে। বিশেষ করে কৃষক আন্দোলনে জয়ন্ত চৌধুরীর সক্রিয় অংশগ্রহণে সাধারণ মানুষের মধ্যে আরএলডি-র প্রভাব বেড়েছে।
কোনও সহকারী ছাড়াই দুই নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে কেন্দ্রের কৃষি আইন বাতিল করার সিদ্ধান্তের পরে রাজ্যের পশ্চিম অংশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। জানা গেছে, দুই নেতৃত্বের মধ্যে সাধারণ ন্যূনতম কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। যদিও আরএলডি ইতিমধ্যেই গত মাসে নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে।
উত্তরপ্রদেশের আসন্ন নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির সাথে জোটবদ্ধ দলগুলি বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তাদের নিজস্ব ইশতেহার প্রকাশ করতে পারে। যদিও সরকার গঠনের সময় একটি সাধারণ ন্যূনতম কর্মসূচির খসড়া তৈরি করা হবে।
এস পি নেতা জানিয়েছেন, "যে কোনও ক্ষেত্রে, এসপির সাথে জোটে থাকা সমস্ত দলগুলির মূল লক্ষ্য সমাজের দুর্বল, বঞ্চিত বিভাগ এবং কৃষক এবং যুবকদের প্রতি। সমস্ত দলের এজেন্ডা প্রায় একই।" যদিও জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নাও হতে পারে।
এই প্রসঙ্গে আরএলডি মুখপাত্র রোহিত আগরওয়াল বলেন, "এখন নতুন করে জোট ঘোষণার কী প্রয়োজন? আমরা ২০১৯ সালের নির্বাচন থেকে এসপির সাথে জোট বেঁধে লড়াই করছি এবং এটি শুধুমাত্র আসন ভাগাভাগির ঘোষণা করা হবে।"
গতকাল বৈঠকের পর দুই নেতা তাদের ছবি টুইট করেছেন। জানা গেছে, অখিলেশ যাদব এবং জয়ন্ত চৌধুরী পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে একটি যৌথ সমাবেশে অংশ নেবেন। যার তারিখ এবং সময় এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
অখিলেশ গতকাল ট্যুইটে লেখেন, "শ্রী জয়ন্ত চৌধুরীর সঙ্গে, বদলের পথে। যার উত্তরে জয়ন্ত চৌধুরী জানান, একসাথে চলবেন। এই দুটি টুইটের মাধ্যমে দুই দলের মধ্যে জোটের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের মতে, অখিলেশ এবং জয়ন্তর মধ্যেকার গভীর বন্ধুত্ব আজকাল রাজনীতিবিদদের মধ্যে পাওয়া যায় না। সাম্প্রতিক সময়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যুতে দুজন একই অবস্থানে আছেন এবং আসন্ন নির্বাচনে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে এই জোটের যথেষ্ট লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
- with IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন