উত্তরপ্রদেশে সুগন্ধি ব্যবসায়ী পীযূষ জৈন এবং পুষ্পরাজ জৈনের বাড়িতে আয়কর হানা নিয়ে রাজনৈতিক চাপান উতোরের মধ্যেই বিষয়টিতে ঢুকে পড়লো জাতের রাজনীতির কথা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব জানিয়েছেন, বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে সংখ্যালঘু জৈন সম্প্রদায়ের মানুষদের লক্ষ্যবস্তু করছে।
অখিলেশ জানান, এখানে প্রায় ৫০ লক্ষ জৈন সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন। যারা তাঁদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য পরিচিত। এখন বিজেপি তাঁদের লক্ষ্যবস্তু করেছে এবং তাঁদের বাড়িতে অফিসে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের বিড়ম্বনায় ফেলছে।
এই প্রসঙ্গে অখিলেশ যাদব অ্যাঙ্গলো ইন্ডিয়ানদের প্রসঙ্গও তুলে আনেন। তিনি বলেন – আরও এক সংখ্যালঘু গোষ্ঠী অ্যাংলো ইন্ডিয়ান। এঁদের জন্য উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় একটিমাত্র আসন নির্দিষ্ট করা আছে। কিন্তু এখন তাও এখন তুলে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, রবিবারই তাঁর বিজয় যাত্রার দশম পর্ব শুরু করেছেন অখিলেশ যাদব। গতকালের যাত্রা শুরুর ভাষণে তিনি বলেন, বিজেপি সরকার এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করেছে যেখানে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এই সরকারের বদল চাইছেন। গতকালের যাত্রা শুরুর সময় পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ের কাছে মহুরাকালান গ্রামে নবনির্মিত পরশুরাম মন্দিরে যান অখিলেশ যাদব।
তিনি বলেন, বিজেপি নেতৃত্ব এবং মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বক্তব্যে নিজেদের সরকার কী কী কাজ করেছে তা বলার বদলে বেছে বেছে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করছে।
অখিলেশ বলেন, এঁরা কখনও বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান নিয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা নিয়ে কিছু বলেন না। নিজেদের সঙ্কল্প যাত্রায় কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা নিয়ে কিছু বলেন না। বিজেপির ভুল নীতির কারণে প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে চলা নিয়ে কিছু বলেন না।
অখিলেশ দাবি করেন, আইটি সিটি এবং চক গাজারিয়াতে যা যা উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে তা সবই হয়েছে সমাজবাদী পার্টির সরকারের আমলে। আমরাই এখানে এইচসিএল-কে এনেছিলাম। যার ফলে উত্তরপ্রদেশের যেসব মানুষরা কাজের সন্ধানে, পড়াশুনার জন্য বেঙ্গালুরু, হায়দারাবাদ যেতে বাধ্য হতেন তাঁরা এখন এখানেই নিজেদের কাজের জোগাড় করে নিতে পারছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন