গত ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধীকে মুখ করে লড়ে কংগ্রেস পেয়েছিল সাতটি আসন। ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস আর সমাজবাদী পার্টি (সপা) জোট হয়। কংগ্রেসকে ১৪৪ টি আসন দেওয়া হয়। এবার তাই উত্তরপ্রদেশে একা লড়েছিল কংগ্রেস। এই প্রথম উত্তরপ্রদেশের ৪০৩ টি বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দল। গত ৩০ বছরে যা প্রথম।
২০১৯ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর পাঁচ বছর পর কংগ্রেসের অবস্থান দেশীয় রাজনীতিতে একেবারেই নড়বড়ে। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস গত ৩০ বছর ধরে বিন্দুমাত্র জায়গা করতে পারেনি উত্তরপ্রদেশে। গত ৪০ বছরে তারা ৩৫টির বেশি আসন পায়নি। প্রিয়াঙ্কা জানতেন, এবারেও তেমন চমকপ্রদ কিছু হওয়ার নয়।
আগের বিধানসভা নির্বাচনে সাতটি আসন জিতেছিল কংগ্রেস। এবার উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের আরও আসন কমল। বেলা ১২টা দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেস মাত্র তিন বা চারটি আসনে এগিয়ে রয়েছে। যদিও এবার প্রচারে খামতি রাখেননি প্রিয়াঙ্কা। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা সব আওয়াজের উৎসস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। প্রতিটি ঘটনায় ধারাবাহিক টুইট করেছেন। যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধেও রণকৌশল তৈরি করেছেন।
উন্নাও, হাথরস, গোরক্ষপুরে ধর্ষণের মতো অপরাধকে ‘রাজনৈতিক হাতিয়ার’ বানিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর ‘ম্যায় লড়কি হুঁ, লড় সকতি হুঁ’ স্লোগানও যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিল। কিন্তু ভোটবক্সে তা প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসা তাঁর লক্ষ্য নয়। তাঁর উদ্দেশ্য, মানুষের সমস্যার কথা বলা। প্রিয়ঙ্কার কথায় তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, জয়ের কথা ভাবছে না কংগ্রেস।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন