লোকসভা নির্বাচনের পর এবার উত্তরপ্রদেশে আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচন বড়ো চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে ক্ষমতাসীন বিজেপির কাছে। লোকসভা নির্বাচন এবং তার পরবর্তী সময়ে দলের কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে মতবিরোধ এখন অনেকটাই প্রকাশ্যে। এই আবহে রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনে নিজেদের আসন ধরে রাখাই যোগী আদিত্যনাথের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।
আর কিছুদিনের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের ১০টি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২০২৭-এ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই হতে চলেছে মিনি বিধানসভা নির্বাচন। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সদ্য হওয়া ১৩টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবিরকে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের ১০ আসন নিয়ে বেশ চিন্তায় বিজেপি শিবির। যদিও এই উপনির্বাচনের ফলাফলে রাজ্যের সরকারের ওপর সেভাবে কোনও প্রভাব পড়বে না।
উত্তরপ্রদেশে যে দশ আসনে উপনির্বাচন হবে তার মধ্যে পাঁচটি আসন সমাজবাদী পার্টির দখলে ছিল। তিনটি আসন ছিল বিজেপির দখলে এবং একটি করে আসন ছিল আরএলডি এবং নিষাদ পার্টির। উল্লেখ্য, আরএলডি এবং নিষাদ পার্টি – দুই রাজনৈতিক দলই এনডিএ শিবিরের। সেই হিসেবে মোট ১০ আসনের মধ্যে পাঁচটি আসন এনডিএ শিবিরের এবং পাঁচটি আসন বিরোধীদের দখলে ছিল।
উপনির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা না হলেও বিরোধী ইন্ডিয়া মঞ্চ ইতিমধ্যেই আসন ভাগাভাগি এবং সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে। রাজ্যের সমাজবাদী পার্টির এক নেতা জানিয়েছেন, আসন্ন উপনির্বাচনে ফলাফল খুব স্পষ্টভাবেই আমাদের দিকে থাকবে। বিজেপি নেতৃত্বই জানেন রাজ্যে বিজেপির অবস্থা এখন খুবই খারাপ।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যর মধ্যে মতানৈক্যর কারণে রাজ্যে বিজেপির অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশে যে যে আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন হবে তার মধ্যে আছে ফৈজাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মিকিপুর। এছাড়াও কাঠেহারি, কারহাল, মীরাপুর, গাজিয়াবাদ, মাঝাওয়ান, সিসামৌ, খাইর, ফুলপুর, কুন্ডারকি।
সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের ৮০ টি আসনের মধ্যে বিজেপি জয়ী হয়েছে মাত্র ৩৩ আসনে। এনডিএ জোটে থাকা আরএলডি এবং আপনা দল জয়ী হয়েছে যথাক্রমে ২ এবং ১ আসনে। অন্যদিকে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টির ইন্ডিয়া মঞ্চ জয়ী হয়েছে ৪৩ আসনে। যার মধ্যে সমাজবাদী পার্টি জয়ী হয়েছে ৩৭ আসনে, কংগ্রেস ৬ আসনে। ১টি আসনে জয়ী হয়েছে আজাদ সমাজ পার্টি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন