এবারের দিওয়ালি থেকেই উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের অপশাসনের শেষযাত্রার শুরু হবে। সমাজবাদী পার্টির সভাপতি মঙ্গলবার দিওয়ালির প্রাক্কালে একথা জানিয়েছেন। গতকাল ধনতেরাস, দিওয়ালি এবং গোবর্ধন পুজো উপলক্ষ্যে রাজ্যের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একথা বলেন অখিলেশ। এই প্রসঙ্গে তিনি মানুষে মানুষে ঐক্য, শান্তি এবং পারস্পরিক মেলবন্ধনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।
সমাজবাদী পার্টির প্রধান জানান, বিজেপির ভুল নীতির কারণে আজ কৃষকদের দুরবস্থা, যুবকরা কর্মহীন। গরিবরা আরও গরিব হচ্ছে। অন্ধকারে চলে যাচ্ছে। দিওয়ালি আলোর উৎসব। এই উৎসবে সব অন্ধকার কেটে যাবে এবং রাজ্যে বিজেপির অপশাসনের শেষের শুরু হবে। অখিলেশের অভিযোগ, বিজেপি মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
তাঁর বক্তব্য অনুসারে, “বিজেপি নিজেদের সঙ্কল্প পত্রে (নির্বাচনী ইশতেহার) যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তা পূরণে ব্যর্থ। বিজেপি বলেছিল কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ হবে। বেকার যুবকরা কাজ পাবে। ছাত্রদের ল্যাপটপ দেওয়া হবে। এখন তারা বলছে ২০২৪-এর নির্বাচনের ফলাফল নির্ভর করবে ২০২২-এর নির্বাচনের ওপর এবং এই কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।”
অখিলেশ বলেন, কৃষকদের ধান বিক্রি হয়নি। তাঁরা অসহায় বোধ করছেন। সরকার দাম বেঁধে দিয়েছে ১,৯৪০ টাকা প্রতি কুইন্ট্যাল। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে ধান কেনা হচ্ছে না। ফলে কৃষকরা ফড়েদের কাছে এর থেকে অনেক কম দামে ফসল বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সমাজবাদী পার্টির রাজ্য সভাপতি নরেশ উত্তম প্যাটেলের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে এবং স্মারকলিপি জমা দেয়। যেখানে ২০২২ বিধানসভা নির্বাচনের ভোটার লিস্টে ব্যাপক গরমিলের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে অবিলম্বে সঠিক ভোটার তালিকা প্রকাশের দাবি জানানো হয়। ওই স্মারকলিপিতে বলা হয় মোট ভোটার, গত ১৬ জানুয়ারি ২০২০-২১ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০২০-২১ যাঁদের নাম বাদ গেছে, যাঁদের নাম যুক্ত হয়েছে সেই সব তালিকা আলাদা আলাদা ভাবে প্রকাশ করতে হবে। দলের রাজ্য সভাপতি নরেশ প্যাটেল জানিয়েছেন রাজ্যের ভোটার তালিকা থেকে মোট ১৬.৪২ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
- with Agency Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন