সামনেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। কংগ্রেস বিজেপি একে অপরকে আক্রমণ করতে একটাও সুযোগ ছাড়ছে না। কংগ্রেসের আপাতত লক্ষ্য রাজ্যের মহিলা ভোট। সেই অনুসারে কংগ্রেস ঘোষণা করেছিল রাজ্যের ৪০ শতাংশ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মহিলা প্রার্থীরা।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দাবি – কংগ্রেস যদি এতোই মহিলাদের জন্য চিন্তিত, তাহলে কোনো সাধারণ মহিলাকে রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব দিচ্ছে না কেন? কংগ্রেসের পাল্টা দাবি – রাজ্যে ক্যাবিনেট স্তরে কোনো মহিলা মন্ত্রী নিয়োগ করেনি কেন বিজেপি?
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যোগী আদিত্যনাথ বলেন – “কংগ্রেস একজন সাধারণ মহিলাকে দলীয় প্রধান হিসাবে নিয়োগ করছে না?” জবাবে কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে বলেন, “যোগীজি আপনি প্রিয়াঙ্কার ৪০ শতাংশ টিকিট মহিলাদের দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিরক্ত। আপনি সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিলেরও বিরোধিতা করেছিলেন। আপনার ক্যাবিনেটে কোনও মহিলা মন্ত্রীও নেই। আপনি চান নারী শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে। আপনার মানসিকতা পরিবর্তন করুন।”
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন যে তাঁর দল ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মহিলাদের জন্য একটি পৃথক ইশতেহার তৈরি করেছে। “উত্তরপ্রদেশের আমার প্রিয় বোনেরা, আপনাদের জীবন সংগ্রামে পূর্ণ। এটা বুঝে কংগ্রেস দল মহিলাদের জন্য একটি পৃথক ইশতেহার তৈরি করেছে” - হিন্দিতে একটি টুইটে এমনই লিখেছেন তিনি।
তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে লিখেছেন – “কংগ্রেস সরকার গঠনের পর, মহিলাদের জন্য বছরে তিনটি এলপিজি সিলিন্ডার বিনামূল্যে দেওয়া হবে এবং মহিলারা রাজ্য সরকারি বাসে বিনামূল্যে ভ্রমণ করতে পারবেন"। এছাড়াও অন্যান্য আশ্বাসের মধ্যে রয়েছে আশা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা মাইনে, সংরক্ষণ অনুসারে ৪০ শতাংশ পদে মহিলাদের নিয়োগ, বৃদ্ধ বিধবাদের জন্য ১০০০ টাকা পেনশন এবং রাজ্যের সাহসী মহিলাদের নামে ৭৫টি স্কিল স্কুল চালু করা হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন