Uttarakhand Polls 22: দলীয় নেতৃত্ব বা পার্টি লাইনের বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না - বিজেপিতে সতর্কবার্তা

বিজেপির একজন বিশিষ্ট পদাধিকারী জানিয়েছেন, এখন থেকে "কেউ" উত্তরাখণ্ড রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কথা বলবে না। নির্বাচনে "নাশকতা" বা পার্টি লাইনের বিপরীত কিছু বিষয়ে কথা বলা যাবেনা।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকী ছবি সংগৃহীত
Published on

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর পক্ষ থেকে উত্তরাখণ্ডের দলীয় নেতৃত্ব, বিশেষ করে যারা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তাদের "দলের বিরুদ্ধে কথা না বলার" জন্য একটি "কঠোর" সতর্কতা জারি করা হল৷

১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে দলের কিছু প্রার্থী রাজ্য নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাহায্য করার অভিযোগ করার পরে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। বিজেপির একজন বিশিষ্ট পদাধিকারী জানিয়েছেন, এখন থেকে "কেউ" উত্তরাখণ্ড রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কথা বলবে না। নির্বাচনে "নাশকতা" বা পার্টি লাইনের বিপরীত কিছু বিষয়ে কথা বলা যাবেনা।

তিনি আরও জানান, "আমাদের কিছু প্রার্থী রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এবং তাদের প্রচার ও নির্বাচনী সম্ভাবনায় নাশকতার অভিযোগ এনেছেন। আমরা উত্তরাখণ্ড বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বিষয়টিতে লক্ষ্য রাখছি এবং তাদের (প্রার্থীদের) কথা বলার সময় তাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দিয়েছি। আমরা তাদের সতর্ক করে জানিয়েছি যে রাজ্য নেতৃত্ব বা দলীয় লাইনের বিরুদ্ধে কথা বলা মেনে নেওয়া হবে না।”

তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই সতর্কবার্তা উত্তরাখণ্ডের সেইসব বিজেপি নেতাদের জন্যও প্রযোজ্য যারা এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। "পরামর্শ বা সতর্কীকরণ, আপনি যাই বলুন না কেন, এটি রাজ্য শাখার প্রত্যেকের জন্য প্রযোজ্য এবং বার্তাটি খুব স্পষ্ট যে শৃঙ্খলাভঙ্গ সহ্য করা হবে না।"

বর্তমান বিধায়ক সহ প্রায় চারজন বিজেপি প্রার্থী দলের রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাহায্য করার অভিযোগ করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, হয় রাজ্য নেতারা দলের পক্ষে প্রচার করেননি অথবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাহায্য করেছেন। অন্যরা স্থানীয় জেলা এবং ব্লক ইউনিটগুলিকে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ভোটের সময় তাদের সমর্থন না করার জন্য দায়ী করেছেন।

৭০-সদস্যের উত্তরাখণ্ড বিধানসভার জন্য ভোট ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় এবং ভোট গণনা ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ক্ষমতাসীন বিজেপি, এবারের নির্বাচনে ৬০টি আসন জয়ের লক্ষ্য নির্ধারিত করেছে এবং রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে কোন কৌশল বাকি রাখেনি।

২০১৭ সালের শেষ বিধানসভা নির্বাচনে, বিজেপি এই রাজ্যে ৫৭টি আসন জিতেছিল।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in