রবিবার ফলাফল ঘোষণার পর চার দিন কেটে গেলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে পর্যন্ত রাজস্থানে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হচ্ছেন তা জানা যায়নি। বেশ কয়েকটি নাম রাজনৈতিক মহলে আলোচিত হলেও এখনও পর্যন্ত বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়নি। যদিও ইতিমধেই নবনির্বাচিত বিজেপি বিধায়কদের বিভিন্ন শিবিরে বিভক্ত হবার বেশ কিছু খবর পাওয়া গেছে।
প্রাক্তন বিধায়ক হেমরাজ মীনা, যিনি বর্তমান বিজেপি বিধায়ক ললিত মীনার বাবা অভিযোগ করেছেন, দুষ্মন্ত সিং-এর মদতে বিধায়কদের বলপূর্বক আটকে রাখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দুষ্মন্ত সিং রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার ছেলে।
হেমরাজ মীনা অভিযোগ করেছেন, দ্যুষ্মন্ত সিং বিধায়কদের বারণ ঝালওয়ার থেকে বিধায়কদের জয়পুরে নিয়ে আসছেন এবং শিকর রোডের আপনো রাজস্থান রিসর্টে আটকে রাখছেন। তাঁর ছেলে বিধায়ক ললিত মীনাকেও আটকে রাখা হয়েছিল। ললিত দলীয় অফিসে যেতে চাইলে তাঁকে যেতে দেওয়া হয়নি।
হেমরাজ আরও জানান, আমি যখন আমার ছেলে ললিতকে ওখান থেকে আনতে যায় তখন বিধায়ক কানওয়ারলাল মীনা আমাকে আটকায় এবং বলে প্রথমে দ্যুষ্মন্ত সিং-এর সঙ্গে কথা বলতে হবে। এরপর আমাদের গায়ের জোরে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। আমরা ওদের সঙ্গে হাতাহাতি করে ললিতকে ওখান থেকে বের করে এনেছি।
হেমরাজ মীনার বক্তব্য অনুসারে, তিনি পুরো ঘটনা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সি পি জোশী এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখরকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এরপরেই সি পি জোশী, বিধায়ক ভজনলাল শর্মা এবং বিজেপি রাজ্য সহসভাপতি শ্রাবণ সিং বাগদী ওখানে যান।
হেমরাজ মীনার অভিযোগ, ললিতকে নিয়ে ফেরার পথে দুষ্মন্ত সিং-এর লোকজন তাঁর গাড়িতে ইট ছোঁড়ে এবং তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। তিনি আরও বলেন, আমি দলের প্রতি দায়িত্ববান। আমি এবং আমার ছেলে ললিত মীনা দলের সঙ্গেই আছি। মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত। আমরা তাদের সঙ্গেই আছি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন