দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে কর্ণাটকে ভোট দানের সামগ্রিক হার ৬৮.৪৫ শতাংশ। যার মধ্যে রাজধানী ব্যাঙ্গালোরের ভোটাররা হতাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনকে। বেঙ্গালুরুর তিন কেন্দ্রেই ভোটদানের হার অত্যন্ত কম।
শুক্রবার অর্থাৎ গতকাল দেশে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন ছিল। কর্ণাটকের ১৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। উদুপি চিকামাগালুর, হাসান, দক্ষিণ কন্নড়, চিত্রদুর্গ, তুমকুর, মান্ডা, মহীশূর, চামরাজানগর, ব্যাঙ্গালোর গ্রামীণ, ব্যাঙ্গালোর উত্তর, ব্যাঙ্গালোর সেন্ট্রাল, ব্যাঙ্গালোর দক্ষিণ, চিকবল্লাপুর এবং কোলারের ভোটাররা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
ভোট গ্রহণ পর্বের শেষে দেখা যায় ব্যাঙ্গালোর সেন্ট্রালে ৫২.৮১ শতাংশ, ব্যাঙ্গালোর উত্তরে ৫৪.৪২ এবং ব্যাঙ্গালোর দক্ষিণে ৫৩.১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে মাত্র। ২০১৯ সালের থেকেও ভোট দানের হার কমেছে এবার। গত লোকসভা নির্বাচনে ব্যাঙ্গালোর সেন্ট্রালে ৫৪.৩২ শতাংশ, ব্যাঙ্গালোর উত্তরে ৫৪.৭৬ শতাংশ এবং ব্যাঙ্গালোর দক্ষিণে ৫৩.৭০ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভোটাররা যাতে ভোট দিতে যান তার জন্য অনেক পদক্ষেপই নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অর্ধেক ভোটার বুথমুখীই হলেন না। সম্ভবত তীব্র গরমের কারণে ভোট দিতে আসেননি তাঁরা। খারাপ লাগলেও এটাই সত্য।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের ৩ আসনেও গতকাল নির্বাচন ছিল। দার্জিলিং, বালুরঘাট এবং রায়গঞ্জে নির্বাচন হয়। এই তিন কেন্দ্রে প্রত্যাশা মতো ভোট পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভোটার টার্ন আউট অ্যাপের তথ্য অনুসারে পশ্চিমবঙ্গে ভোট দানের সামগ্রিক হার ৭৫.৫৯ শতাংশ। বালুরঘাট - ৭৯.০৯, দার্জিলিং - ৭১.৮৯ এবং রায়গঞ্জ - ৭৬.১৮ শতাংশ।
একনজরে রাজ্যগুলিতে ভোটের দানের হার (ভোটার টার্ন আউট অ্যাপ) -
আসাম - ৭৭.৩৫ শতাংশ।
বিহার - ৫৭.৮১ শতাংশ।
ছত্তিশগড় -৭৫.১৬ শতাংশ।
জম্মু ও কাশ্মীর - ৭৩.৩২ শতাংশ।
কর্ণাটক - ৬৮.৪৫ শতাংশ।
কেরালা - ৭১.০১ শতাংশ।
মধ্যপ্রদেশ - ৫৮.৩৭ শতাংশ।
মহারাষ্ট্র - ৫৯.৬৩ শতাংশ।
মণিপুর - ৭৮.৭৮ শতাংশ।
রাজস্থান - ৬৪.০৭ শতাংশ।
ত্রিপুরা - ৭৯.৬৬ শতাংশ।
উত্তরপ্রদেশ - ৫৪.৮৫ শতাংশ।
পশ্চিমবঙ্গ - ৭৫.৫৯ শতাংশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন