গোয়ায় আরও অস্বস্তিতে তৃণমূল। প্রাক্তন বিধায়ক লাবু মামলেদারের পাশাপাশি আরও পাঁচ স্থানীয় নেতা তৃণমূল ছাড়লেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে 'সাম্প্রদায়িক' তকমা দিয়ে দল ছাড়লেন পাঁচ নেতা। শুক্রবারই তৃণমূলকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন পাঁচজন।
দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা পদত্যাগপত্রে নেতারা লিখেছেন, "আমরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম এই আশা নিয়ে যে দলটি গোয়া এবং গোয়ানদের জন্য উজ্জ্বল দিন নিয়ে আসবে। আমরা ভুল ছিলাম। ভুল করেছিলাম। তৃণমূল গোয়া এবং গোয়ানদের বুঝতেই পারেনি। এটা দুর্ভাগ্যজনক।"
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, "হিন্দু ভোটের মেরুকরণের জন্য মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি (MGP)-র সাথে জোট ঘোষণা করেছে তৃণমূল। দলটি ভেবেছে এতে খ্রিস্টান ভোটগুলি তাদের কাছে যাবে। এই দলের প্রকৃতি চূড়ান্ত সাম্প্রদায়িক। আমরা এরকম একটা দলের সাথে কোনো সম্পর্ক রাখতে চাই না যারা গোয়ানদের বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। গোয়াকে ভাঙার তৃণমূলের পরিকল্পনা সফল হতে দেব না আমরা। রাজ্যে ধর্মনিরপেক্ষতা বন্ধন অটুট রাখবো আমরা।"
গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যে প্রথম যখন সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছিল তৃণমূল, তখন এই পাঁচজন দলে যোগ দিয়েছিলেন। এঁদের সাথেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন পোন্ডার প্রাক্তন MGP বিধায়ক লাবু মামলেদার। তিনিও শুক্রবার তৃণমূল ছেড়েছেন। তাঁর কথায় তৃণমূল বিজেপির থেকেও বেশি সাম্প্রদায়িক। গতকাল এক সংবাদ সংস্থাকে তিনি জানিয়েছেন, "আমার ধারণা ছিল তৃণমূল ধর্মনিরপেক্ষ। ৫ ডিসেম্বর MGP-র জোট ঘোষণা করে দলটি। তখন আমি বুঝতে পারি দলটি বিজেপির থেকেও সাম্প্রদায়িক।"
তিনি আরও বলেন, "তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করেছে, যেখানে মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়। কিন্তু গোয়াতে তারা প্রতি মাসে ৫,০০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা অসম্ভব। দলকে বোকা বানায় যারা তাদের সাথে আমি থাকবো না"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন