ষষ্ঠ দফায়, আগামী ২৫ মে ভোট জঙ্গলমহলে। তার আগে চলছে জোরকদমে প্রচার। সোমবার ঝাড়গ্রামের প্রার্থী সোনামণি মুর্মু টুডু ও মেদিনীপুরের সিপিআই প্রার্থী বিপ্লব ভট্টের হয়ে প্রচারে যান সিপিআইএম পলিটব্যুরোর নেত্রী বৃন্দা কারাট।
এদিন দুই প্রার্থীর সমর্থনে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়। জনসভার শুরুতে বিশাল মিছিল হয়। সেই মিছিলে নেতাকর্মী, সাধারণ সমর্থক ও মহিলাদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
সোনামণি মুর্ম টুডু গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিআইএমের হয়ে গ্রাম সংসদে দাঁড়িয়ে জিতেছেন, এখন তিনি পঞ্চায়েত সদস্য। পঞ্চায়েত সদস্য থেকে সোজা তিনি ঝাড়গ্রামের লোকসভার প্রার্থী। অন্যদিকে, গত লোকসভাতেও মেদিনীপুরের প্রার্থী ছিলেন বিপ্লব ভট্ট।
এদিন নির্বাচনী সভায় এসে বৃন্দা কারাট অভিযোগ করেন, “গত পাঁচ বছর ধরে লোকসভায় মোদী সরকার আদিবাসীদের অধিকারের উপর হামলা করছে। আদিবাসী অধিকারের একটা যুদ্ধ রয়েছে। তাঁদের হয়ে সংসদে কথা বলার কেউ নেই। বিজেপি সরকার প্রতিনিয়ত আদিবাসী মানুষদের উপর হামলা চালাচ্ছে।“
তিনি আদিবাসী অধিকারের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে বলেন, “ও (সোনামণি) খুব ভালো প্রার্থী। সংসদে গিয়ে আদিবাসীদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে। সোনামণিদের মতো আদিবাসী মেয়েদেরকেই সংসদে দরকার।“
রাজ্য প্রসঙ্গ বলতে গিয়ে এদিন বৃন্দা কারাট বলেন, “বিজেপি এবং তৃণমূল যে এক, তার প্রমাণ সন্দেশখালির ঘটনা। বিজেপি সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের চেষ্টা করছে। শাজাহান হলো গুন্ডা, গুন্ডা বাহিনীর কোন ধর্মীয় ভিত্তি হয় না। আর এই শাহজাহানের গুন্ডা বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূল তার গুন্ডা বাহিনিকে আড়াল করার চেষ্টা করছে।“
এদিন বৃন্দা কারাট ছাড়া বক্তৃতা রাখেন সিপিআই এর রাজ্য সম্পাদক স্বপন ব্যানার্জি, সিপিআইএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ সহ অন্যান্য বাম কংগ্রেস নেতৃত্ববৃন্দ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন