আসামে রাহুল গান্ধীর 'ভারত জড়ো ন্যায় যাত্রা' কর্মসূচী চলাকালীন গুয়াহাটিতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ান কংগ্রেস কর্মীরা। সেই ঘটনায় রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ন'টি ধারার অধীনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যার মধ্যে দাঙ্গা, বেআইনি সমাবেশ এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগও রয়েছে। মামলাটি বৃহস্পতিবার আসাম সিআইডির কাছে পাঠানো হয়েছে। আসাম পুলিশ প্রধান জিপি সিং এক্স হ্যান্ডেলে একথা জানিয়েছেন। ঘটনাটির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য সিট গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনের পর গ্রেফতার করা হবে রাহুল গান্ধীকে! বুধবার সংবাদমাধ্যমের সামনে এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা।
লোকসভা নির্বাচনের পর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে হেমন্তের যুক্তি, এখন গ্রেফতার করা হলে তাঁর দলের দিকে আঙুল উঠবে। তিনি বলেন, “আমরা এখন ব্যবস্থা নিলে এটাকে রাজনৈতিক পদক্ষেপ বলা হবে।“
মঙ্গলবার আসামের খানাপাড়া এলাকায় রাহুলের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ কর্মসূচী চলাকালীন পুলিশ এবং কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই প্রসঙ্গে আসামের মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, রাহুল গান্ধী প্রায় তিন হাজার লোক এবং ২০০ টি গাড়ি নিয়ে গুয়াহাটিতে প্রবেশের চেষ্টা করেন।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, "যদি তিন হাজার জন মানুষ এবং ২০০ টি গাড়ি নিয়ে গুয়াহাটিতে তিনি (রাহুল গান্ধী) প্রবেশ করতেন, তবে পরিস্থিতি কী হত আমরা সহজেই কল্পনা করতে পারি। আমরা তাঁকে বলেছিলাম, গুয়াহাটির মাঝামাঝি পথের বদলে অন্য যে রুটে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন, সেই পথে যেতে। কিন্তু তাঁরা গুয়াহাটিতে প্রবেশের চেষ্টা করেছে। এটি নিয়ে কংগ্রেস কর্মীরা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।“
হেমন্ত শর্মা জানান, "রাহুল গান্ধী গাড়িতে দাঁড়িয়ে পুরো ঘটনাটি উস্কে দিয়েছেন। আমরা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত করব। পুলিশ তদন্ত করবে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। আমরা এখন তাঁকে গ্রেফতার করব না, লোকসভার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন