Buddhadeb Bhattacharjee: 'স্বর্গের নিচে মহাবিশৃঙ্খলা' - বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

People's Reporter: সদ্য প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এই প্রতিবেদনটি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর ‘স্বর্গের নিচে মহাবিশৃঙ্খলা’ বইটি প্রকাশের সময় লেখা হয়েছিল।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

(এই প্রতিবেদনটি পুনঃপ্রকাশিত। সদ্য প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এই প্রতিবেদনটি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর ‘স্বর্গের নিচে মহাবিশৃঙ্খলা’ বইটি প্রকাশের সময় লেখা হয়েছিল।)

দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২০১৬ সালের পর থেকে দলীয় কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে সেভাবে তাঁকে দেখা যায়নি। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশে অল্প কিছুক্ষণের জন্য এলেও তাঁর পক্ষে মঞ্চে ওঠা সম্ভব হয়নি। দিনকয়েক আগে অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধ্য হয়েছিলেন। একটু সুস্থ হতেই প্রায় জেদ করেই বাড়ি ফিরে গেছেন। কিন্তু অসুস্থ হবার আগে এবং কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পরেও তিনি যে থেমে থাকেননি আরও একবার তার প্রমাণ পাওয়া গেলো।

তিনি পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিআই(এম) নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। দীর্ঘ শারীরিক অসুস্থতার মাঝেও প্রকাশিত হল চীন প্রসঙ্গে তাঁর সাম্প্রতিক গ্রন্থ – ‘স্বর্গের নিচে মহাবিশৃঙ্খলা’। যে গ্রন্থ থেকে চীন প্রসঙ্গিত বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে বলে আশা করছে পাঠকমহল।

এই গ্রন্থ তিনি উৎসর্গ করেছেন প্রমোদ দাশগুপ্তকে। উৎসর্গ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, প্রমোদ দাশগুপ্তের সঙ্গেই তিনি প্রথমবার চীনে গেছিলেন এবং সেখানেই আকস্মিকভাবে প্রমোদ দাশগুপ্ত মারা যান। পরে প্রমোদ দাশগুপ্তর মরদেহ সঙ্গে নিয়ে তিনি ফেরেন।

এই গ্রন্থ সম্পর্কে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য লিখেছেন – মাওয়ের মতে পুঁজিবাদ উচ্ছেদ হলেও তার বিপদ রয়ে গেছে একইভাবে। তার জন্য প্রয়োজন শ্রেণী সংগ্রাম। তার জন্যই যে সব মুষ্টিমেয় কয়েকজন পুঁজিবাদের পথিক হয়েছেন, বিদ্রোহ তাঁদের বিরুদ্ধে। আর বিদ্রোহ মাত্রই ন্যায়সঙ্গত, টু রেবেল ইজ জাস্টিফায়েড।

গ্রন্থের নাম নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন – এই নাম তিনি বেছেছেন মাও সে তুং-এর এক চিঠি থেকে। গ্যাং অফ ফোর বা চার চক্রীর একজন জিয়াং কিং-কে (মাও সে তুং-এর স্ত্রী) মাও সে তুং একটি চিঠি লিখেছিলেন। যে চিঠিতে তিনি ‘স্বর্গের নিচে মহাবিশৃঙ্খলা’ শব্দবন্ধটি ব্যবহার করেছিলেন। সেই শব্দবন্ধ থেকেই তিনি এই গ্রন্থের নাম নির্বাচন করেছেন।

এক পিছিয়ে পড়া দেশ থেকে চীনের বিপুল অগ্রগতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ ছাড়াও এই গ্রন্থে চীনের গণতন্ত্র প্রসঙ্গে পশ্চিমি সমালোচনার বিষয়েও আলোচনা আছে। চীন প্রসঙ্গে যে সমস্ত প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মনে ঘুরে ফিরে বেড়ায় সে প্রসঙ্গগুলোও ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এই গ্রন্থে।

বর্তমান সময়ের চীন, তার সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের এই গ্রন্থ প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল বুক এজেন্সি বা এনবিএ। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নতুন এই গ্রন্থ প্রকাশের খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই বই হাতে পেতে উৎসুক পাঠকমহল। কাল থেকেই এন বি এ-র বিভিন্ন বিক্রয় কেন্দ্রে পাওয়া যাবে এই গ্রন্থ। যার দাম ষাট টাকা।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in