আসামের মুকুটে নয়া পালক। জি আই (GI) সার্টিফিকেট পেল আসামের জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যশালী ‘গামোসা’। ট্যুইটের মাধ্যমে সেই খবর জানালেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।
এই জিআই বা জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন মূলত নির্ভর করে পণ্যটির প্রাচীনত্ব ও অভিনবত্বের ওপর। এর আগে আসামে ৯টি পণ্যের ওপর জি আই ট্যাগ ছিল। তবে সেগুলির বেশিরভাগই কৃষিতে। এই প্রথম হ্যান্ডলুমে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন পেল আসাম।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আসামবাসীর কাছে গর্বের দিন। ভারত সরকার দ্বারা ‘গামোসা’ জি আই ট্যাগ অর্জন করেছে। আমাদের ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়ের কারণেই এই স্বীকৃতি। এই পণ্যটি হাজারা হাজার তাঁতিদের মধ্যে আনন্দ ও আগ্রহের সঞ্চার ঘটিয়েছে। বলা যেতে পারে আসামের ‘গামোসা’ বিশ্বব্যাপী প্রতীক হয়ে উঠেছে।
জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন অফ গুডস আইন, ১৯৯৯-র অধীনে আসামের ডিরেক্টরেট অফ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড টেক্সটাইলস জি আই ট্যাগের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিল। ডিরেক্টরেটের আবেদনের ভিত্তিতে ২০১৭ সালে সার্টিফিকেটটি ইস্যু হয়েছিল। যা মঙ্গলবার প্রদান করা হয়।
‘গামোসা’ হল একধরণের আয়তাকার সুতির কাপড়। যার মধ্যে লাল রঙের বিভিন্ন নকশা আঁকা থাকে। পুরোটাই হাতে বোনা হয়। প্রবীণ ও অতিথিদের সম্মান প্রদানের প্রতীক হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়। আসামের সমস্ত ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে এর ব্যবহার প্রচলিত আছে।
‘গামোসা’ ছাড়া আসামে ‘মুগা সিল্ক’, ‘মুগা সিল্ক অফ আসাম’ (লোগো), ‘আসাম লোগো’, ‘আসাম কারবি অ্যাঙ্গলং আদা’, ‘তেজপুর লিচু’, ‘জোহা রাইস’, ‘বোকা চাউল’, ‘কাজী নেমু’ (একধরণের লেবু) এবং ‘ছোকুয়া রাইস’ জি আই ট্যাগ প্রাপ্ত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন