পুরুলিয়ার মুকুটে নতুন পালক। পুরুলিয়ার বিখ্যাত ছৌ মুখোশ পেল জিআই সার্টিফিকেট। এই খবরে অত্যন্ত আনন্দিত ছৌ মুখোশ প্রস্তুতকারী শিল্পীরা। রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি ও জৈব প্রযুক্তি দপ্তরের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সেই সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হল শিল্পীদের হাতে।
বিশ্বের দরবারের বাংলার ছৌ নৃত্য বেশ জনপ্রিয়। আর এই ছৌ নাচকে বিশ্বের দরবারে পরিচিতি ঘটিয়েছেন পুরুলিয়ার শিল্পীরা। এই ছৌ নাচে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ তাদের পোশাক এবং মুখোশ, এর আলাদাই মাহাত্ম্য। এবার এই ছৌ মুখোশ প্রস্তুতকারী শিল্পীরা নিজেদের প্রাপ্য সম্মান পেলেন। রাজ্যের তরফ থেকে তাঁদেরকে জিআই সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হল। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই সম্মান দেওয়া হয়। এরপর প্রতিটি রাজ্যের সরকার দ্বারা তা বিতরণ করা হয়। এদিন ৩১ জন শিল্পী এই সম্মান গ্রহণ করেন।
এই জিআই বা জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন মূলত নির্ভর করে পণ্যটির প্রাচীনত্ব ও অভিনবত্বের ওপর। যেমন কলকাতার রসগোল্লা, শক্তিগড়ের ল্যাংচা, দার্জিলিং টি, জয়নগরের মোয়া, বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদানা, বাঁকুড়ার টেরাকোটা শিল্প সকলেরই জিআই সার্টিফিকেট আছে। বহুযুগ ধরে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডীতে ছৌ মুখোশ তৈরি করা হচ্ছে। শিল্পীরা প্রাচীন দিনের বহু নথি কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়। বহু আলোচনা ও পর্যবেক্ষণের পর চড়িদা গ্রামের শিল্পীদের হাতে এই সম্মান তুলে দেওয়া হয়।
ছৌ শিল্পীদের এই সার্টিফিকেট ইস্যু হয় ২০১৮ সালে। বৃহস্পতিবার তা রাজ্য সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করে। অনেকে মনে করছেন জিআই সার্টিফিকেট লাভের ফলে ছৌ মুখোশ বিক্রি আরও বাড়বে। শিল্পীরা নিজেদের উদ্যোগেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারবেন। বিদেশে এমনিতেই এই মুখোশের চাহিদা আছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে মোট ২১ টি জিআই ট্যাগ প্রাপ্ত পণ্য আছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন