গ্রেকো রোমান এক শহরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হল আলেক্সান্দ্রিয়ার এক সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে। এক ইজিপ্টিয়ান আরকিওলজিক্যাল মিশন ওই অঞ্চলে গত ৯ মাস ধরে খননকার্য চালাচ্ছিলো। জানা গেছে আবিষ্কৃত শহরটিতে মানুষ বসবাস করতো এবং ওই শহর থেকে ব্যবসা বাণিজ্য চলতো।
সংবাদমাধ্যম জিং হুয়া সুপ্রিম কাউন্সিল অফ অ্যান্টিকুইটি অফ ইজিপ্ট-এর সেক্রেটারি জেনারেল মোস্তাফা ওয়াজিরিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে – ওই অঞ্চলে এক বিশাল আকৃতির ট্যাঙ্ক পাওয়া গেছে। গোলাপী রঙে রাঙানো ওই ট্যাঙ্কে বৃষ্টির জল, বন্যার জল এবং মাটির নীচের জল সংরক্ষণ করা হত বলে অনুমান। সম্ভবত এই জল খরার সময় ব্যবহারের জন্য সঞ্চয় করা হত। মোস্তাফা ওয়াজিরি আরও জানিয়েছেন – এই ধ্বংসাবশেষ আনুমানিক দ্বিতীয় শতাব্দী বি সি থেকে চতুর্থ শতাব্দী এ ডি-র মধ্যবর্তী কোনো সময়ের।
এই অঞ্চল থেকে বেশ কিছু মাটির পাত্র, মূর্তি পাওয়া গেছে। এছাড়াও ৪০টি বড়ো কূপ এবং জলাধার পাওয়া গেছে। যা থেকে অনুমান করা যায় আলেক্সান্দ্রিয়ার নিকটবর্তী এই অঞ্চলে বড়ো সংখ্যায় মানুষ বাস করতেন। গ্রেকো রোমান যুগে এই অঞ্চলই ইজিপ্টের রাজধানী ছিলো।
মোস্তাফা ওয়াজিরির বক্তব্য অনুসারে, ওই অঞ্চল থেকে পর্যটকদের বিশ্রাম কক্ষ আবিষ্কার করা হয়েছে। শহরের বাইরের অঞ্চলে এই ধরণের বিশ্রাম কক্ষ থেকে অনুমান করা যায় শহরে প্রবেশের আগে এই জায়গা থেকে পর্যটকদের প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে হত।
প্রাথমিক গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, শহরের মূল রাস্তার সঙ্গে বহু শাখা রাস্তার সংযোগ ছিলো এবং প্রতিটি রাস্তায় উপযুক্ত জলনিকাশী ব্যবস্থা ছিলো।
এই আবিষ্কার প্রসঙ্গে আলেক্সান্দ্রিয়ার পুরাকীর্তি বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল খালেদ আবু হামেদ জানিয়েছেন, খননকাজ চালানোর সময় বড়ো শহর, বড়ো বাজার, দোকান, মাটির পাত্র এবং মূর্তি তৈরি করার কারখানা আবিষ্কৃত হয়েছে। এছাড়াও আবিষ্কৃত শহরে প্রায় ৭০০ পুরোনো কয়েন, বিভিন্ন আকৃতির কিছু পাত্র, মাছ ধরার সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
একসময় কায়রো এবং গাজার পর ইজিপ্টের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ছিলো আলেক্সান্দ্রিয়া। ৩৩১ বি সি-তে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট এই শহরের পত্তন করেন বলে জানা গেছে।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন