প্রাণনাশের হুমকি পেলেন হ্যারি পটারের লেখিকা জে কে রাউলিং। ট্যুইটারে তিনি সালমান রুশদির আক্রমণকারীর ছবি শেয়ার করে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। সেখানেই এক ব্যক্তি তাঁকে এই হুমকি দেন।
এখন সোশ্যাল মিডিয়াতেও যেন কোনও কিছু শেয়ার করা অপরাধ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমনই ঘটনা ঘটল বিখ্যাত লেখিকা জে কে রাউলিং-র সাথে। সালমান রুশদির ওপর হামলার বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাতে আততায়ীর ছবি সহ একটি পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায় এক ব্যক্তি ঐ আততায়ীর পরিচয় জানান। আবার রউলিং-কে হুমকিও দেন। ঐ ব্যক্তি লেখেন, ‘চিন্তা করবেন না, এরপর আপনার পালা’। এই কথাতেই আশঙ্কা প্রকাশ করে লেখিকা ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করেন।
কিন্তু ট্যুইটারের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় ঐ ব্যক্তির কথায় কোনও প্ররোচনা বা প্রতিহিংসা নেই। ট্যুইটারের হিংসা বিষয়ক যেসব নিয়ম আছে তার কোনওটি লঙ্ঘিত হচ্ছে না। ট্যুইটারের এমন উত্তর পেয়ে বেজার ক্ষুব্ধ হয়েছেন রাউলিং। তিনি ট্যুইটারের হিংসার নির্দেশিকা তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, ট্যুইটারের নিয়ম অনুযায়ী আপনি কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হিংসা ছড়াতে পারবেন না। এই প্ল্যাটফর্ম হিংসাকে সমর্থনও করে না। এই গুলি যদি ট্যুইটারের নিয়ম হয় তাহলে কেন ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তাঁকে অনেকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁদের সকলকে তিনি ধন্যবাদ জানান পাশে থাকার জন্য। এছাড়াও রাউলিং জানান এই ঘটনার তদন্ত পুলিশ করছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ওয়েস্টার্ন নিউ ইয়র্কের এক অনুষ্ঠানে ছুরিকাহত হবার পর আপাতত গুরুতর সঙ্কটজনক অবস্থায় সালমান রুশদি চিকিৎসাধীন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুসারে, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১০.৪৫ মিনিট নাগাদ শিটাকুয়া ইন্সটিটিউশনের ওই অনুষ্ঠানে রুশদির সঙ্গে দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। সেই সময় বাঁ দিক থেকে স্টেজে উঠে আসে আততায়ী এবং সরাসরি সালমান রুশদিকে আক্রমণ করে। যদিও এই কম সময়ের মধ্যেই কমপক্ষে পনেরো থেকে কুড়িবার রুশদিকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে আততায়ী। তাঁর ঘাড়ে এবং শরীরের একাধিক স্থানে গুরুতর চোট লেগেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন