ফেসবুকে বিজেপির সমালোচনা করায় কেরলের বিখ্যাত কবি কে সচ্চিদানন্দের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে ব্লক করলো ফেসবুক। কবি নিজেই একথা জানিয়েছেন। কবির অভিযোগ, কেরলে বিজেপির ব্যাপক ভরাডুবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ব্যাঙ্গাত্মক ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্ট করার পরই তাঁকে ব্লক করা হয়েছে।
সাহিত্য আকাদেমির প্রাক্তন সচিব তথা কবি কে সচ্চিদানন্দ জানিয়েছেন, "ফেসবুকে কোনো পোস্ট করা বা কোনো পোস্টে কমেন্ট করা থেকে আমাকে বিরত রাখা হয়েছে, কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও আমি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম। কেরালায় বিজেপির পরাজয় নিয়ে করা একটি ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও এটি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে হিটলার তাঁর পরাজয়ের পর নিজের অনুগামীদের বকছেন। কিন্তু ভিডিওর অডিওতে হিটলারের আওয়াজের জায়গায় অমিত শাহের কন্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে। কেরলে দলের শোচনীয় পরাজয়ের জন্য দলীয় কর্মীদের মালায়লি ভাষায় বকছেন তিনি। এটা কেবল একটা ব্যঙ্গাত্মক, সমালোচনামূলক ভিডিও ছিল। আপত্তিজনক কিছু ছিলনা এখানে।"
কবি আরো জানিয়েছেন, গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করায় ফেসবুকের কাছ থেকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদত্যাগের দাবিতে একটি পোস্ট করায় ২১ এপ্রিলের আগে ফেসবুকের কাছ থেকে একটি সতর্কবার্তা পেয়েছিলাম আমি। সরকার এবং ফেসবুকের মধ্যে ষড়যন্ত্র রয়েছে কারণ ভারতে অনেক বেশি কনসিউমার রয়েছে। আর বিজেপির বিশাল আইটি সেল রয়েছে, তারা নিশ্চয় সবসময় আমাদের মতো ব্যক্তিদের লক্ষ্য করছে, যারা পরিচিত এবং অন্যদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারেন।"
তাঁর অভিযোগ, "এটা সম্পূর্ণভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করার প্রচেষ্টা। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা যাতে আমাদের প্রতিবাদ ও হতাশা প্রকাশ করতে পারি, তার অনুমতি দেওয়া উচিত সোশ্যাল মিডিয়াকে। এটা ক্রমশ অত্যাচারী হয়ে উঠছে।"
কেরলের অর্থমন্ত্রী থমাস আইজ্যাক, কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর ফেসবুকের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছেন। যদিও বিজেপি এই ঘটনার সাথে তাদের কোনোরকম সংযোগকে অস্বীকার করেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন