আগামী ১৮ জানুয়ারি থেকে সল্টলেকে সেন্ট্রাল পার্কে বসতে চলেছে ৪৭ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার আসর। চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আগামী বছরের বইমেলায় অনেক নতুন প্রকাশক স্টল দিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছে ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড’। আর তাই মেলাকে আড়েবহরে আরও বড় করতে অতিরিক্ত জমি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করতে চলেছে গিল্ড। রবিবার এমন জানালেন গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে।
এ দিন তিনি বলেন, “গত বার যে সমস্ত নতুন প্রকাশক মাত্র ৫০ বর্গফুটের স্টল দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই এ বার একটু বড় স্টল দিতে চান। সেই সঙ্গে এ বার অন্তত ৫০ থেকে ৬০ জন নতুন প্রকাশক বইমেলায় স্টল দেবেন। সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাঁদের স্টলের জায়গাও বাড়ানো হবে।“
কিন্তু কেন এত বাড়তি জমির আবেদন? গিল্ড জানিয়েছে, ২০২৩ সালে অর্থাৎ ৪৬ তম বর্ষে বইমেলায় অংশ নেওয়ার জন্য নতুন বেশ কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থা আবেদন করে। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৯০০টি স্টল হয়। সীমিত জায়গায় এতগুলি স্টল বসাতে গিয়ে ছোট দোকানের সাইজ ১০০ বর্গফুট করে দিতে হয়। তাতেও স্থান সীমিত হওয়ায় মাত্র ৫০ বর্গফুটের ৭০টি স্টল দিতে হয়েছিল। গতবার মেলায় ২৬ লক্ষ বইপ্রেমী এসেছিলেন। বিক্রি হয়েছিল ২৫ কোটি টাকার বই। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, এবছর এই পরিসংখ্যানটা আরও বাড়বে।
সুধাংশুশেখরবাবু বলেন, “আমরা সমীক্ষা করে দেখেছি, এ বারের বইমেলায় বইয়ের সংখ্যা গত বারের চেয়ে বাড়বে।“ গিল্ড জানাচ্ছে, কীভাবে সব বিধি মেনে স্টলের সংখ্যা বাড়ানো যায়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সমীক্ষা চলছে। পাশাপাশি, গতবার যেখান ফুড কোর্ড ছিল তার আশেপাশে কিছু বুক স্টল বসানো যায় কিনা তা নিয়েও সমীক্ষা চলছে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে অনেকটা এগিয়ে আনা হয়েছে বইমেলা। পাশাপাশি, বইমেলা চলাকালীন প্রায় দিন পাঁচেক সরকারি ছুটি আছে। তাই এবছর বাড়বে বইপ্রেমীদের সমাগম। এবং আরও বেশি বই বিক্রি হবে বলেই মনে করছেন গিল্ড কর্তারা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন