চলতি বছর আগষ্ট মাসে ছাত্র আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসে পালাবদল। মসনদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন সেদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার গঠন করেন মহম্মদ ইউনুস। আর বাংলাদেশে সরকারের এই পালাবদলের জেরে ২০২৫ সালে কলকাতা বইমেলায় অন্যতম প্রধান অতিথি দেশ হিসেবে অনিশ্চিত বাংলাদেশ।
এবিষয়ে বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘এ বিষয়ে প্রশাসনের উঁচুতলার নির্দেশ ছাড়া কিছু বলতে পারব না।’ অন্যদিকে, বাংলাদেশের পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রাক্তন সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলামের দাবি, ‘গিল্ডের তরফে আমাদের কাছে কোনও আমন্ত্রণ এসেছে বলে তো জানি না। আমরা অবশ্যই কলকাতা বইমেলায় আসতে আগ্রহী।’
গিল্ড সূত্রে খবর, বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বইমেলায় অংশগ্রহণ করার বিষয়ে কোনও কথা বলা হয়নি। প্রতিবছর নভেম্বর, ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের তরফ থেকে কলকাতায় বইমেলা ও চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করা হয়। তবে এই মূহুর্তে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের কোনও প্রতিনিধি নেইও। মাজহারুল জানান, ‘বিভিন্ন বিভাগীয় বইমেলা (জেলাস্তরে) চলছে বাংলাদেশে। একুশে বইমেলার প্রস্তুতিও চলছে পুরোদমে।’
১৯৯৬ সাল থেকে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন মানেই ছিল বইমেলার বিশেষ আকর্ষণ। প্রতিবছর বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ থাকে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন। গত ২৮ বছরে এই প্রথম কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন অনিশ্চিত। তবে এই বিষয়ে বইমেলার আয়োজকদের ঘনিষ্ট মহলের কারও কারও দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে সমাজ মাধ্যমে দুই বাংলার পারস্পারিক সম্পর্কে যে তিক্ততা তৈরি হয়েছে, তা বইমেলায় না পড়াই ভালো।
অন্যদিকে, ২০২৫–এর বইমেলায় থিম হচ্ছে জার্মানি। জার্মানির ভাইস কনসাল সাইমন ক্লাইনপাস এবং গ্যেটে ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর অ্যাস্ট্রিড ওয়েগে জানান, পরিবেশ সচেতনতা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য জার্মান প্যাভিলিয়নে বিশেষ গুরুত্ব পাবে। স্থপতি অনুপমা কুণ্ডু জার্মান প্যাভিলিয়নটি সাজাবেন।
২০২৫ সালে ২৮ জানুয়ারি শুরু হবে কলকাতা বইমেলা। চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গত বছর ১০৫০টি স্টল ছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন