পাঠ্যপুস্তকে ‘ইচ্ছামত’ ও ‘অযৌক্তিক’ ভাবে বিষয়বস্তু বাদ দেবার প্রতিবাদে নিজেদের নাম সরিয়ে নেবার জন্য চিঠি লিখলেন সুহাস পালসিকার এবং যোগেন্দ্র যাদব। এঁরা দুজনেই এনসিইআরটি-র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকের মুখ্য উপদেষ্টা ছিলেন। কাউন্সিলের কাছে লেখা চিঠিতে তাঁরা দাবি জানিয়েছেন, এনসিইআরটি-র সমস্ত পলিটিক্যাল সায়েন্স পাঠ্যপুস্তক থেকে যেন তাঁদের নাম সরিয়ে নেওয়া হয়।
এনসিইআরটি-র ডিরেক্টর দীনেশ সাকলানিকে লেখা চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন, “আমাদের সঙ্গে কখনই আলোচনা করা হয়নি বা এই পরিবর্তনগুলি সম্পর্কে জানানো হয়নি। এনসিইআরটি যদি এই বিষয় কাটছাঁট এবং মুছে ফেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে তাহকে, আমরা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি যে আমরা এই বিষয়ে তাদের সাথে সহমত নই।”
সাম্প্রতিক সময়ে কখনও মুঘল যুগ, কখনও গণতন্ত্র, আবার কখনও ডারইউন-এর তত্ব সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং-এর এই সিদ্ধান্ত ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এর পরেই দুই মুখ্য উপদেষ্টা কমিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
দুই মুখ্য উপদেষ্টা সুহাস পালসিকার এবং যোগেন্দ্র যাদব তাঁদের চিঠিতে জানিয়েছেন, এভাবে নির্বিচারে সব মুছে দিলে সেই পাঠ্যপুস্তকের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ক্ষমতাসীন কাঠামোকে খুশি করা ছাড়া আমরা এর মধ্যে আরও কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছিনা।
এনসিইআরটি-র পাঠ্য পুস্তক থেকে বিভিন্ন বিষয় বাদ দেওয়া নিয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। তাদের মতে, স্কুল স্তর থেকে গৈরিকীকরণে তৎপর হয়েছে মোদী সরকার। যার ফলে পাঠ্যপুস্তক থেকে বিভিন্ন বিষয় বাদ দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির আদর্শের সঙ্গে যে যে বিষয় মিলছে না সেগুলোকেই নির্বিচারে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। যদিও এর পাল্টা হিসেবে এনসিইআরটি-র দাবি, পড়ুয়াদের ওপর থেকে চাপ কমাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন