এবার স্নাতক স্তরের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই থেকে থেকে ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা হিন্দুস্থাঁ হামারা’ স্রষ্টা মহম্মদ ইকবালের জীবনী বাদ পড়তে চলেছে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল। শিক্ষাবিদদের মধ্যে অনেকেই এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করছেন না।
মুঘল যুগ, ডারউইনের বিবর্তনবাদের পর কেন্দ্রের নিশানায় উর্দু কবি মহম্মদ ইকবাল। সূত্রের খবর, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ষষ্ঠ সেমিস্টারে মহম্মদ ইকবালের জীবনী ছিল। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মর্ডান ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল থট শীর্ষক অধ্যায়ের অন্তর্গত ছিল জীবনীটি। দিল্লি ইউনিভার্সিটির অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সেটা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
উর্দু কবির জীবনী বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও ওই একই সেমিস্টারে রয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ, বি আর আম্বেদকর, রামমোহন রায়, পণ্ডিত রমাবাই। আপাতত তাঁদের ক্ষেত্রে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’ কবিতাটি ১৯০৪ সালের ১৬ আগস্ট ইত্তেহাদ নামের এক সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। যা পরবর্তী ক্ষেত্রে অভিবক্ত ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী দেশপ্রেম মূলক গানে পরিণত হয়ে যায়। পরে ১৯২৪ সালে উর্দু বই 'বং-ই-দারা'তে ছাপা হয়।
যিনি ব্রিটিশ বিরোধী কবিতার জন্য বিখ্যাত, যাঁর কবিতা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলেছিল তাঁর জীবনই এভাবে বাদ পড়তে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়েছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন