গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েলি হামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট সমাজকর্মী সন্দীপ পান্ডে। প্রতিবাদে নিজের রামন ম্যাগসেসে পুরস্কার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রাপ্ত বিজ্ঞানে অর্জন করা দুটি ডিগ্রি ফিরিয়ে দিলেন তিনি।
এখনও থামেনি ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধ। ইতিমধ্যেই মৃত্যু সংখ্যা ২২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও মহিলা। এবার সেই যুদ্ধের বিরোধিতায় সরব হলেন সন্দীপ পান্ডে। তাঁর মতে আমেরিকা কেবল নিজের দেশের মধ্যেই মানুষের স্বাধীনতা স্বীকার করে।
সর্বভারতীয় এক সংবাদ সংস্থাকে সন্দীপ পান্ডে বলেন, "আমি মনে করি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ যে দেশ মানবাধিকারকে সবথেকে বেশি সম্মান করে এবং অগ্রাকধিকার দেয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতাও দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে তারা সেগুলি শুধু নিজের দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছে। তাদের বিদেশনীতি আলাদা। বিশেষ করে ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইন নিয়ে ভিন্ন নীতি গ্রহণ করেছে আমেরিকা"।
তিনি আরও বলেন, "ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধে ২১,৫০০ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তারপরেও ইজরায়েলকে সামরিক সাহায্য করে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি ইজরায়েলকে সমর্থনও জানিয়েছে আমেরিকা। এরপরেও এই পুরস্কার নিজের কাছে রাখা আমার জন্য বেদনাদায়ক। তাই আমি আমার পুরস্কার ও দুটি ডিগ্রি ফেরাচ্ছি"।
প্রসঙ্গত, আমেরিকার এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন সন্দীপ পান্ডে এবং অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পিএইচডি করেছিলেন। এই দুই ডিগ্রিই তিনি ফিরিয়ে দেবেন। ২০০২ সালে তিনি ম্যাগসেসে পুরস্কার লাভ করেছিলেন। তিনি শান্তির বার্তা বাহক হিসেবে কাজ করতেন এবং বহু দরিদ্র শিশুকে শিক্ষাদান করতেন। সেই কারণেই তাঁকে ম্যাগসাসে পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। ফোর্ড ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে পুরস্কার লাভ করেছিলেন সন্দীপ পান্ডে। ওই ফাউন্ডেশনটি হল মার্কিন ফাউন্ডেশন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন