পিপিপি মডেলে স্কুল চালানো নিয়ে রাজ্য এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। রাজ্য শিক্ষা দপ্তর এই বিষয়ে কিছু জানে না। এমনটাই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শনিবার এক অনুষ্ঠানে পিপিপি মডেল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে একথা জানান তিনি।
পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমির উদ্যোগে আগামী ২৩-২৭ ফেব্রুয়ারি পাঁচদিনের সাহিত্য উৎসব ও লিটল ম্যাগাজিন মেলা হতে চলেছে। তা নিয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক হয়। সেখানেই একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কবি শ্রীজাত, সাহিত্যিক আবুল বাশার, কবি সুভাষ সরকার-সহ আরও অনেকে।
ব্রাত্য বসু বলেন, 'আমাদের দফতরে এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও এই বিষয়ে কিছু আলোচনা হয়নি।' শুধু তাই নয়, খবরটি ভুয়ো হতে পারে, সেই আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি। ভুয়ো খবর কি না, সেই বিষয় খোঁজ নেবেন বলে জানান। প্রয়োজনে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হতে পারে। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা তিনি জানাননি। প্রয়োজন হলে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে এব্যাপারে আলোচনা করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, রাজ্যের স্কুলগুলিকে পিপিপি মডেলে চালানো হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের পথে হাঁটতে পারে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সরকারি জমি - বাড়ি ব্যবহার করে স্কুল চালাতে পারবে বেসরকারি সংস্থা। সেজন্য দরকারে নিলামে তোলা হবে সরকারি পরিকাঠামোগুলিকে। রাজ্য মন্ত্রিসভায়ও এই প্রস্তাব পেশ হতে পারে। এর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন অনেকেই।
কিন্তু ব্রাত্য বসু বলেন, 'এই ধরনের খবর ছড়ানো বা উদ্যোগের পিছনে অনেক রাজনৈতিক কথা থাকে। থাকে এক ধরনের বিরোধিতাও, সঙ্গে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা।' বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রয়াস থাকে বলে তিনি মনে করেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, 'তাহলে কি আমরা এসবের জন্য পিছিয়ে যাব? নিরুৎসাহিত হব?' আর কোনও নতুন উদ্যোগ নেব না বা কাজ করব না?’ পাল্টা প্রশ্ন তোলেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন