রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে শান্তি প্রস্তাব পাশ রাষ্ট্রসংঘে। এই ভোটদানে বিরত থাকলো ভারত, চীন সহ একাধিক দেশ। এই শান্তি প্রস্তাব কতটা ফলপ্রসূ হবে তা আগামীদিনেই জানা যাবে।
এক বছর পূর্ণ হল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। তাও বিরাম নেই। ইউক্রেন দখলে মরিয়া রুশ সেনা। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এখনও চলছে যুদ্ধবিমানের হানা। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে একের পর এক ইমারত। এই অবস্থায় ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর প্রস্তাব পাশ হল রাষ্ট্রসংঘে।
ভারত বা চীনের ভোট দান থেকে বিরত থাকা নতুন বিষয় নয়। এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের একাধিক প্রস্তাবে ভোট দান থেকে বিরত থেকেছিল দুই দেশ। সেই অবস্থানের নড়চড় হল না এইবারেও। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। ১৪১ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ও ৭ সদস্য বিপক্ষে ভোট দেয়। ভারত-চীন ছাড়াও আরও ৩০ সদস্য ভোট দান থেকে বিরত থাকে।
সূত্রের খবর, রাষ্ট্রসংঘে ইউক্রেন ও আমেরিকা ভারতকে নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানাতে বলে। ভারত পূর্বে যা বক্তব্য রেখেছিল সেই ভারসাম্যের ও শান্তির নীতিই বজায় রেখেছে। ভারতের বক্তব্য, আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত বিষয়টি দুই দেশের মিটিয়ে নেওয়া উচিত। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ এদিন বলেন, "মানুষের জীবনের মূল্য দিয়ে কোনো সমাধান কখনোই আসতে পারে না।"
রাষ্ট্রসংঘ আজ রাশিয়ার উদ্দেশ্যে বলে, এই হিংসাত্মক মনোভাব আমাদের বিশ্বকে ক্ষতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার উচিত অবিলম্বে নিঃশর্ত ভাবেই ইউক্রেনের সীমানা থেকে সেনা প্রত্যাহার করা। পাশাপাশি শান্তি স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা।
একদিকে যখন যুদ্ধের বিরুদ্ধে শান্তি প্রস্তাব পাশ হচ্ছে রাষ্ট্রসংঘে, তখন অন্যদিকে পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার বৃদ্ধি করতে মরিয়া রাশিয়া। সেই উদ্দেশ্যে সামরিক খাতে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের কথাও ঘোষণা করেছে পুতিনের দেশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন