বুধবার ভয়াবহ ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ইরানে মৃত্যু হল ১০৩ জনের। বহু মানুষ আহত হয়েছে। এঁদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি মার্কিন ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ইরানের তৎকালীন শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানি। বুধবার তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় হাজার কিলোমিটার দূরে কেরমান শহরে সোলেমানির কবরের সামনে জড়ো হয়েছিলেন বহু মানুষ। সেখানেই পরপর দু’বার ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। ইরান সরকারী টিভি ‘ইসনা’ এই ঘটনায় ১০৩ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৭১ হন।
ইরান সরকার এই বিস্ফোরণের ঘটনার পিছনে সন্ত্রাসবাদীদের হাত রয়েছে বলে জানিয়েছে। তবে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম উল্লেখ করেনি সরকার। বুধবার রাত পর্যন্ত এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন। গাজায় যুদ্ধের আবহে এই বিস্ফোরণে ইজরায়েলের কোনও সংস্থার হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গোটা ইরান জুড়ে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন।
এই বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে শোকদিবস পালন করার ডাক দিয়েছে ইরানের সরকার। সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, এই হামলা নিঃসন্দেহে কাপুরুষোচিত কাজ। হামলার ঘটনায় জড়িতদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।
ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। ইরাক, রাশিয়া, তুরস্ক সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরাও এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন