আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রবিবার রাজ্য-দেশের পাশাপাশি পথে নেমেছিল গোটা বিশ্ব। জানা গেছে, এদিন বিশ্ব জুড়ে মোট ২৫ টি দেশের ১৩০ টি শহরে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেই তালিকায় ছিল আমেরিকা, জাপান, তাইওয়ান ছাড়া ছিল ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। মূলত প্রবাসী ভারতীয়রা এই কর্মসূচির আয়োজন করেছিলেন। যার মধ্যে অনেকে বাঙালিও ছিলেন।
জানা গিয়েছে, আমেরিকার ৬০ টি জায়গায় রবিবার প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল। যার মধ্যে ছিল আটলান্টা, ডাবলিন, সান দিয়েগো, বস্টন, হিউস্টন, আইওয়া, মিনেয়াপোলিস, নিউ ইয়র্ক, সিয়াটল, ট্যাম্পা, ভার্জিনিয়া-র মতো জায়গা।
এ ছাড়া, জাপান, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, সাউথ আফ্রিকা, জার্মানি, জাম্বিয়া, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, চেক প্রজাতন্ত্র, স্পেন, নিউজিল্যান্ডেও প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। ব্রিটেনের বেলফাস্ট, বার্মিংহাম, কার্ডিফ কেমব্রিজ, এডিনবরা, লিডস, লেস্টার, ম্যানচেস্টারের মতো শহরে প্রবাসী ভারতীয়রা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সুইডেনে কালো পোশাক পরে পথে নামেন মহিলারা। প্ল্যাকার্ড হাতে বাংলা গানের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তাঁরা। সুইডেনে এই প্রতিবাদ কর্মসূচির অন্যতম মূল উদ্যোক্তা ছিলেন দীপ্তি জৈন। তিনি কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী। বর্তমানে তিনি ব্রিটিশ নাগরিক। দীপ্তি বলেন, ‘‘কলকাতার হাসপাতালে কর্তব্যরত জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমরা শিহরিত। এটা মানব সভ্যতার লজ্জা।’’
উল্লেখ্য, গত ৯ আগষ্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হলে ধর্ষণ এবং খুন করা হয় ৩১ বছরের এক ট্রেনি মহিলা চিকিৎসককে। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। বর্তমানে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে চলছে সেই মামলার শুনানি। তার আগের রাতে বিচারের দাবিতে গোটা রাজ্য জুড়ে একাধিক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন