চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগ-এর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালালো এক বন্দুকবাজ। চার্লস বিশ্ববিদ্যালয় লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে আততায়ী। কম পক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে। চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগে বন্দুকবাজরা গুলি চালাতে থাকে। চেক প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি মার্টিন ভনড্রাসেক বলেন, এই ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন। যার মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া সূত্রে খবর, ওই বিল্ডিং-র মধ্যেই নাকি বিপুল অস্ত্রের ভাণ্ডার ছিল। পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারতো।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন বিদেশীও আছেন। এঁদের অনেকেরই পরিচয় জানা যায়নি এবং তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হামলাকারীর।
চেক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, স্থানীয় পুলিশকে জানানো হয়েছিল সেন্ট্রাল বোহেমিয়া অঞ্চলের হোস্টউন থেকে প্রাগের উদ্দেশ্যে এক যুবক বেরিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, নিজের জীবন দিয়ে দিতে চান। ২৫ মিনিট পর ওই যুবকের বাবাকে হোস্টউনেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তারপরই ওই যুবকের সন্ধান করতে থাকে পুলিশ।
পুলিশ এও জানতে পারে, যে ওই যুবকের (বন্দুকবাজ) কলা বিভাগের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার কথা ছিল। সেই জন্যই দ্রুত বাড়িটি খালি করে দেওয়া হয়। কিন্তু গুলি চালানো হয় জন পালাচ স্কোয়ারে।
চেক প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা বলেন, এই কাজ কোনো গোষ্ঠী বা আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের নয়। একজন বন্দুকবাজই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। চেক প্রজাতন্ত্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভিট রাকুসান বলেন, দেশের ইতিহাসে নজিবিহীন ঘটনা। খুবই ভয়ানক কাজ এটি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন