ব্রাসেলসে মুদ্রাস্ফীতির জেরে নাজেহাল সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পরিবহণ দফতরের কর্মীরা। দৈনন্দিন খরচ সামাল দিতে পারছেন না তারা। যার ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে ব্রাসেলসের রাস্তায়। মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন ১৬,৫০০ পরিবহণ দফতরের কর্মচারী।
সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, কর্মচারীরা ১৯৯৬ সালের মজুরি সীমা আইনের নিন্দা করার পাশাপাশি মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে। কারণ, তাঁরা দৈনন্দিন খরচ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
শুক্রবার, বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে কর্মচারীদের আন্দোলনের জেরে থমকে গিয়েছে পরিবহণ ব্যবস্থা। এমনকি, এই আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে বিমান চলাচলের উপরও। ব্রাসেলস বিমানবন্দর শান্ত থাকলেও, ৬০ শতাংশ ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে।
বেলজিয়ামের জেনারেল লেবার ফেডারেশন (FGTB)-এর প্রেসিডেন্ট থিয়েরি বডসন (Thierry Bodson) বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই জ্বালানির খরচ কমাতে হবে, মজুরি নয়।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু, জ্বালানির দাম কমাতে সক্ষম নয় ইউরোপ, তাই এটি করার জন্য বেলজিয়ামকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।’
CSC ট্রেড ইউনিয়নের সেক্রেটারি জেনারেল মারি-হেলেন স্কা (Marie-Helene Ska) বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হল - মজুরি নিয়ে আলোচনা করার মৌলিক স্বাধীনতা, যা আমাদের আদায় করতে হবে।’
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) বেলজিয়ামকে জানিয়েছে, ১৯৯৬ সালের আইন আলোচনার স্বাধীনতার পরিপন্থী।
গত দুই বছর ধরে এই আইনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে কমন ট্রেড ইউনিয়ন ফ্রন্ট (সিএসসি, এফজিটিবি, সিজিএসএলবি)। কিন্তু, তারা সফল হয়নি, একথা জানান বডসন।
সেক্টা (Secta) (কর্মচারী, প্রযুক্তিবিদ এবং ম্যানেজারদের ইউনিয়ন)-র সেক্রেটারি জেনারেল মিশেল ক্যাপোন (Michel Cappoen) জানান, ‘জ্বালানির ক্রমবর্ধমান খরচ মোকাবিলায় সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা যথেষ্ট নয়। কারণ, এগুলি ছিল সীমিত সময়ের প্রচেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যে, সরকারের আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’
বডসন বলেন, ‘কমন ট্রেড ইউনিয়ন ফ্রন্ট বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে চায়।’ তিনি জানান, ‘আমাদের সংকল্প থেমে থাকবে না। ২০২৩ সালে আরও পরিকল্পনার নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবো আমরা।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন