রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে বুধবার জার্মানির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা সকলেই অতি-দক্ষিণপন্থী সংগঠনের সাথে যুক্ত। এই ধরনের কর্মকাণ্ডে আরও অনেকে যুক্ত থাকতে পারে বলে মনে করছে জার্মান প্রশাসন।
জার্মান প্রশাসন সূত্রে খবর, ধৃতরা রাইশব্যুর্গার আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিল। এরা সকলে জার্মানির সরকার ফেলার ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত বলে দাবি করছে সরকার। অভিযুক্তরা বহুদিন ধরেই নিজেদের নতুন সরকার গঠনের পরিকল্পনা করছে। এই অভিযান সরকারের বিরাট সাফল্য হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।
জার্মান প্রসিকিউশন এজেন্সি ও দেশের বিচারমন্ত্রী মার্কো বুশম্যানের নির্দেশেই জার্মানি জুড়ে এই অভিযান চালানো হয়। মার্কো বুশম্যান বলেন, বুধবার সকাল থেকেই বৃহৎ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু হয়। ফেডারেল পাবলিক প্রসিকিউটর জেনারেল রাইশব্যুর্গার আন্দোলনের পর থেকেই সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কের বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছেন।
প্রসিকিউশন আধিকারিকদের মতে, গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তরা ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সাথে যুক্ত। যে সংগঠনের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে জার্মানির বর্তমান রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ভেঙে নিজস্ব মতাদর্শের ভিত্তিতে নয়া রাষ্ট্রের সূচনা করা। সেই লক্ষ্যে সংগঠনের সদস্যরা কাজও শুরু করে দিয়েছে।
সূত্র মোতাবেক জানা যাচ্ছে, ১১টি প্রদেশে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ২৫ জনের মধ্যে মহিলা পুরুষ উভয়েই রয়েছে। ২৪ জন জার্মানির এবং একজনকে মনে করা হচ্ছে রাশিয়ার নাগরিক। আরও ২৭ জন এই কাজের সাথে যুক্ত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাইশব্যুর্গারের আক্ষরিক অর্থ রয়েছে। জার্মান ভাষায় ‘রাইশ’ শব্দের অর্থ সাম্রাজ্য এবং ‘ব্যুর্গার’ শব্দের অর্থ নাগরিক। এই আন্দোলন সমর্থনকারীরা বর্তমান জার্মানির নাগরিকত্বে বিশ্বাসী নন। তাঁরা চান অতীতের জার্মানির পরিচয়ে বাঁচতে।
২০২০ সালে রাইশব্যুর্গার আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে অতি-দক্ষিণপন্থী একটি সংগঠনকে প্রথমবারের মতো নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জার্মান প্রশাসন। ওই বছর প্রায় ৪০০ জন আধিকারিক সংগঠনের ২১ জন নেতার বাড়িতে অভিযান চালান। তাতে আগ্নেয়াস্ত্র, বেসবল খেলার ব্যাট সহ নানান সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন