আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৫, আহত প্রায় ৫০ জন। মৃতদের মধ্যে পাকিস্তানের সেনাও রয়েছে বলে খবর। হামলার দায় স্বীকার করেছে বালোচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) সংগঠন। এক সিসিটিভি ফুটেজে বিস্ফোরণের মুহূর্ত ধরা পড়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে, পাকিস্তানের বালুচিস্তানে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কোয়েটার স্টেশনে প্রতিদিনের মতো এদিনও বহু মানুষ ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। জাফর এক্সপ্রেস পেশোয়ারের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় আচমকাই কেঁপে ওঠে প্ল্যাটফর্ম। মুহূর্তের মধ্যেই চারিদিকে ছিটকে পড়ে রক্তাক্ত দেহ। প্ল্যাটফর্মে থাকা ছাউনিও উড়ে যায়।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ৪৬ জনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের মধ্যে ১৪ জন সেনা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। প্রশাসনের এক কর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মঘাতী হামলা বলেই মনে করা হচ্ছে। মূলত পাকিস্তানি সেনাদের লক্ষ্য করেই হামলা করা হয়। তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্ত এগোলে জানা যাবে কীভাবে এবং কেন এই বিস্ফোরণ হয়েছে।
বালুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি পুরো ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি সাধারণ নিরস্ত্র মানুষের উপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, 'সন্ত্রাসবাদীদের লক্ষ্য এখন নিরীহ মানুষ, শ্রমিক, শিশু ও নারী। যারা নিরীহ মানুষকে টার্গেট করছে তারা ক্ষমার অযোগ্য।'
প্রসঙ্গত, চীন-পাকিস্তান বাণিজ্যিক করিডর তৈরি হওয়ার পর থেকে বেশি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বালুচিস্তান। এই জঙ্গি সংগঠন প্রায়ই পাকিস্তানি সেনার উপর হামলা চালিয়েছে। সাধারণ মানুষের উপরও অত্যাচার চালিয়েছে। অতীতে অন্যান্য প্রদেশের জনগণের উপর আক্রমণও করেছে বালোচ লিবারেশন আর্মি। বিশেষ করে পাঞ্জাব প্রদেশের মানুষদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গি সংগঠনটি। গত আগস্ট মাসেই হামলা চালিয়ে ৩৯ জনকে হত্যা করেছিল তারা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন