বাংলাদেশের ঢাকার বেইলি রোডে এক বহুতলে অগ্নিকান্ডের জেরে এখনও পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২২ জন। এঁদের প্রত্যেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের উপর সাততলা একটি ভবনে আগুন লাগে। ভবনটির তৃতীয়তলায় একটি পোশাকের দোকান রয়েছে, বাকি সব সব তলায় রেস্তোরাঁ ছিল। একদম নিচের তলায় একটি কফির দোকান রয়েছে। সেখানেই সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে বলে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন জানাচ্ছেন। সব রেস্তোরাঁতে সিলিন্ডার মজুত থাকায় দ্রুত ওই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
উদ্ধারকাজের সঙ্গে যুক্ত ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ভবনের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত সিঁড়িতে বড় বড় গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। সেগুলোতে আগুন ধরে যাওয়ায় লোকজন বের হতে পারেননি।
আহত ২২ জনকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এঁদের মধ্যে ১৪ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ৮ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এঁদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
আগুন লাগার পর ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ১২ জনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা বেশির ভাগই হাত-পায়ে ব্যথা পেয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ক্রেনের সাহায্যে ভবনের সাত তলা ও ছাদে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের নামিয়ে আনা হয়। আগুন নিভে যাওয়ার পর ভবনের ভিতরে তল্লাশি চালিয়ে অচেতন অবস্থায় ২১ জন নারী ও ৪ শিশু সহ ৪৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও ১৫ জন মহিলা সহ ৭৫ জনকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনার তদন্তে ফায়ার সার্ভিস পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন