ইয়েমেনের নৌকাডুবিতে প্রায় ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ১৪০ জন নিখোঁজ রয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩১ জন মহিলা ও ৬ শিশু রয়েছে।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে সোমবার মধ্য রাতে। হর্ন অফ আফ্রিকা থেকে ইয়েমেনের দিকে যাচ্ছিল নৌকাটি। আলগারিফ পয়েন্ট-র কাছে নৌকাটি ডুবতে শুরু করে। ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। ৭১ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (IOM) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার ইয়েমেনের দক্ষিণ উপকূলে ডুবে যায় নৌকাটি। নৌকাটি সোমালিয়ার উত্তর উপকূল থেকে ১১৫ জন সোমালি এবং ১৪৫ জন ইথিওপিয়ানকে নিয়ে ইয়েমেনের দিকে যাচ্ছিল। যার মধ্যে ৯০ জন মহিলা ছিলেন। এডেন উপসাগর দিয়ে ৩২০ কিলোমিটার যাত্রা করছিল নৌকাটি। সেই সময়ই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আইওএম মুখপাত্র মহম্মদ আলি আবুনেজালে বলেন, 'এই রুটে পরিযায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। নয়তো এই সমস্যা দিন দিন বাড়তে থাকবে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পাশে আছি। উদ্ধারকাজ যাতে আরও দ্রুত হয় তার চেষ্টা করছি আমরা'।
যে পথে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ওই পথ দিয়ে প্রচুর পরিযায়ী যাতায়াত করেন পেশাগত কারণে। জানা যাচ্ছে বর্তমানে প্রায় ৪ লক্ষ পরিযায়ীর বসবাস ইয়েমেনে। ২০২১ সালে এই অঞ্চলে আগত পরিযায়ীর সংখ্যা ছিল ২৭ হাজারের কাছাকাছি। ২০২৩ সালে দেখা যাচ্ছে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে প্রায় ৯০ হাজারের কাছাকাছি। সকলেই প্রায় সমুদ্রপথেই যাতায়াত করেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসেও এই অঞ্চলে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছিল। তখন ৬২ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন বলেই জানায় আইওএম।
আইওএম আরও জানিয়েছে ২০১৪ সাল থেকে পূর্ব আফ্রিকা এবং হর্ন অফ আফ্রিকা থেকে উপসাগরীয় দেশগুলিতে যাতায়াতের কারণে ১,৮৬০ জন পরিযায়ীর মৃত্যু হয়েছে বা নিখোঁজ হয়েছে। যার মধ্যে ৪৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে নৌকাডুবিতে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন