ফেসবুকের পলিসি ম্যানেজার আঁখি দাস পদত্যাগ করলেন। সম্প্রতি তাঁকে নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয় ভারতের রাজনৈতিক মহলে। অভিযোগ- ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিষিদ্ধ করতে রাজি হননি তিনি। শুধু তাই নয়; সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এমন পোস্টের বিরুদ্ধে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি ভারতের ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক দানা বাঁধে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমেরিকার এক প্রথম সারির সংবাদপত্র প্রথম এই তথ্য সামনে আনে। আর তাতেই নড়েচড়ে বসে রাজনৈতিক মহল। বিরোধীদের অভিযোগ ফেসবুক কর্তৃপক্ষ শাসক দল বিজেপির হয়ে ক্রমাগত পক্ষপাতিত্ব করে গেছে।
সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা শশী থারুর নেতৃত্বে এক সংসদীয় কমিটি ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহি তলব করেছিল। এর পরেই আঁখি দাস ও আর এক ফেসবুক কর্তা অজিত মোহনকে প্রায় দুই ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সংসদীয় কমিটি। মূলত, ফেসবুকের বিজ্ঞাপন, তথ্য সুরক্ষা ও কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে প্রশ্ন করা হয় বলে সূত্রের খবর। ফেসবুক ঠিক কত শতাংশ টাকা তথ্য সুরক্ষা খাতে খরচ করে সে বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
যদিও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বরাবর দাবি করে এসেছে- বিজ্ঞাপনের জন্য কারোর ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু ইউরোপ সহ বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে প্রশ্নের মুখে পড়েছে ফেসবুকের ভূমিকা। খোদ আমেরিকাতেই টানা জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল স্বয়ং মার্ক জুকারবার্গকেই। সেখানেই শাসক দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব, বিজ্ঞাপনে অস্বচ্ছতা, ভুয়ো খবর রোধের জন্য ফেসবুকের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন