গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলি বাহিনীর আক্রমণে গাজা ও সংলগ্ন অঞ্চলে ৯০০০-এর বেশি মহিলার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার একথা জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। সংস্থার তথ্য অনুসারে বিগত সময়ে প্রতিদিন গড়ে ৬৩ জন মহিলার মৃত্যু হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘ আরও জানাচ্ছে ওই অঞ্চলে প্রতিদিন গড়ে ৩৭জন মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ফলে তাঁদের শিশুরা অনাথ হয়েছে এবং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে পরিবার। গাজার স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে গত অক্টোবর মাস থেকে গাজায় ইজরায়েলি আক্রমণে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘ আরও জানিয়েছে, প্রতি ৫জন মহিলার মধ্যে ৪জন (৮৪ শতাংশ) জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরুর আগে তাঁরা প্রতিদিন যা খাবার খেতেন বর্তমানে তাঁরা তার তুলনায় অর্ধেক বা তার চেয়েও কম খাবার পাচ্ছেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের তুলনায় সবথেকে কম খাবার পাচ্ছেন মহিলারা এবং তাঁরা সবার শেষে খাবার খাচ্ছেন।
মহিলারা আরও জানিয়েছেন, প্রতি পরিবারে কমপক্ষে ১জন সদস্যকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন অভুক্ত থাকতে হচ্ছে এবং ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই শিশুদের খাবার দিয়ে পরিবারের মহিলারা অভুক্ত থাকছেন।
গাজার মোট জনসংখ্যা ২.৩ মিলিয়ন বা ২৩ লক্ষ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তাঁরা ঠিকমত খাবার পাচ্ছেন না। যা অতীতে কখনও হয়নি এবং এরা ক্রমশ সম্পূর্ণ অনাহারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।
গাজার বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতি ১০ জন মহিলার মধ্যে ৯ জনই পুরুষদের অনুপাতে খাবার পাচ্ছেন না। জানা যাচ্ছে, বহু মহিলা এখন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে খাবার খোঁজার চেষ্টা করছেন।
রাষ্ট্রসংঘ আরও জানিয়েছে, অবিলম্বে মানবিক কারণে যুদ্ধবিরতি ঘোষিত না হলে আগামী দিন ও সপ্তাহে আরও বহু মানুষ মারা যাবে। গাজায় হত্যা, বোমা হামলা এবং প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ধ্বংস বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠানোতে অবরোধ তুলতে হবে এবং ত্রাণ পাঠাতে হবে।
- With Agency Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন