কোকাকোলা কোম্পানি বিশ্বে তাদের কর্মী সংখ্যার ১৭ শতাংশ ছাঁটাই করেছে। বৃহস্পতিবার সংস্থার তরফে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, মোট ২ হাজার ২০০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। কোভিড ১৯-এর দাপটে ব্যবসায়ে ও ব্র্যান্ডের বিশাল পরিমাণ ক্ষতি হওয়ার কারণে এই কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে বলে সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে।
অ্যাটলান্টার এই সফট ড্রিংক সংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছে, মোট কর্মী ছাঁটাইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক কর্মী রয়েছে। যেখানে কোকের মোট কর্মী সংখ্যা ছিলো ১০,৪০০। ২০১৯ সালের শেষে বিশ্বে মোট ৮৬ হাজার ২০০ মানুষকে চাকরি দিয়েছিল কোক। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে কোকে ব্যবসায়ে নিদারুণ প্রভাব পড়েছে। স্টেডিয়াম ও সিনেমাহল-থিয়েটারের মতো জায়গায় কোকের বিক্রি একেবারে বন্ধ হয়ে যায় লকডাউনে। ফলে ৯ শতাংশ রাজস্ব কমে গিয়ে জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮.৭ বিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে কোক। লকডাউনের পরেও ব্যবসার গতি নিম্নমুখী। কোকের চেয়ারম্যান এবয সিইও জেমস কুইনসে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিনের এই ব্যবসাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে করোনা মহামারি। পাশাপাশি, নিজেদের কাজে আরও সক্রিয় থাকার জন্যও চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে কোভিড ১৯।
চলতি বছরে কোক নিজেদের ব্র্যান্ডকে বজায় রাখতে ট্যাব, জিকো কোকোনাট ওয়াটার বিক্রি করতে শুরু করেছে। এছাড়াও রয়েছে ডায়েট কোক, ফিয়েস্টি চেরি ও ওডওয়াল্লা জুসও রয়েছে। রয়েছে মিনিট মেড, সিম্পলি জুস, নতুন বাজারে এসেছে টপো চিকো হার্ড সেলজার, কোককোলা এনার্জি এবং আহা স্পার্কলিং ওয়াটার। মোট ১৭ টি পণ্যের থেকে ৯টি পণ্যে নিজেদের বিক্রি কমিয়ে নিয়ে এসেছে কোক।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন