নেপালে শাসকদলের অন্দরে কোন্দল তুঙ্গে। এক দিকে সরকার ভেঙে ঘুরপথে দলের উপর কর্তৃত্ব মজবুত করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি। অন্যদিকে, পাল্টা কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ডেকে অলিকেই দলের কো-চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দিলেন পুষ্পকমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ড। শাসক নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি মঙ্গলবার একটি আলাদা কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ডাকে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি ঘোষণা করেন নতুন ১,১৯৯ জন সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে।
মঙ্গলবার ৪৪৬ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন প্রচণ্ড। এই বৈঠকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়, কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরানো হবে ওলিকে। এই বৈঠকের কয়েকঘণ্টা আগেই অন্য একটি বৈঠক করেন ওলি। সেখানে ঠিক হয় এই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্্য সংখ্যা বাড়িয়ে ১,১৯৯ করা হবে। বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দলের মুখপাত্র নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠাকে সরিয়ে দেওয়া হবে। বিদেশ মন্ত্রী প্রদীপ গাওয়ালিকে নতুন মুখপাত্র হিসাবে নিয়োগ করা হয়।
ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, নতুন সদস্যদের প্রায় সকলেই ওলির অনুগামী। অর্থাৎ এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে প্রচণ্ড শিবির। তবে, দলীয় স্তরে কোনও নির্বাচন কিংবা কোনও সমাবেশ ছাড়া এ ভাবে কেন্দ্রীয় কমিটির সংখ্যাবৃদ্ধি আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে শাসকদলের অন্দরেই।
'ওলি বনাম প্রচণ্ড'কে কেন্দ্র করে গত কয়েকমাস ধরেই টালমাটাল অবস্থা নেপালে। রবিবার সেই লড়াইকে নয়া মাত্রা দিয়ে সংসদ ভেঙে দেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। ঘোষণা করা হয়, ৩০ এপ্রিল এবং ১০ মে দু'দফায় নির্বাচন হবে দেশে। এ নিয়ে নেপালজুড়ে শোরগোল পড়ে গেলে ওলি বলেন, 'আমার সরকারের বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত চলছিল। ঠিকভাবে কাজ করা যাচ্ছিল না। তাই নতুন করে জনমত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন