কোভিড অতিমারিকে কাটিয়ে ২০২৮ সালেই আমেরিকাকে ছাপিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে উঠে আসবে চিন। নিজেদের বার্ষিক রিপোর্টে এমনটাই দাবি করল ব্রিটেনের অন্যতম শীর্ষ অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থা সেন্টার ফর ইকনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ। সারা বিশ্বে কোভিডের কারণে বড় ক্ষতি হলেও চিনের অর্থনীতির উপর তেমন প্রভাব পড়েনি। যে কারণে আমেরিকার অর্থনীতিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চলেছে চিনের অর্থনীতি।
ওই রিপোর্টে দাবি, কোভিড অতিমারি চলা সত্ত্বেও ছন্দেই রয়েছে চিনের অর্থনীতি। অন্যদিকে, আমেরিকার অর্থনীতি এখনও বিশ বাঁও জলে। এই ফারাকের জন্যই দীর্ঘ মেয়াদে লাভবান হবে চিন। শনিবার প্রকাশিত ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, 'বেশ কিছু বছর ধরেই চিন এবং আমেরিকার মধ্যে অর্থনৈতিক এবং ক্ষমতার লড়াই চলে আসছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের জেরে উদ্ভুত অতিমারি পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক দিক থেকে চিন অনেকটা সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে।'
সময়মতো লকডাউন ঘোষণা করে দক্ষ হাতে কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছে বলেই চিন তাড়াতাড়ি অতিমারির প্রকোপ কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। মূলত উহান বাদে চিনের অন্য প্রদেশেও তেমনভাবে ছড়ায়নি কোভিড। ফলে দেশের নিরিখে আর্থিক ক্ষতির মুখও তেমনভাবে দেখতে হয়নি দেশটিকে।
আগামী কয়েক বছরে চিনের গড় আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাসও প্রকাশ করেছে ওই সংস্থা। তারা জানিয়েছে, ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর গড়ে ৫.৭ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি ঘটবে চিনের। ২০২৬ থেকে ২০৩০ পর্যন্ত বৃদ্ধির গতি কিছুটা কমলেও ওই ৪ বছরে অন্তত ৪.৫ শতাংশ করে আর্থিক বৃদ্ধি ঘটবে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই মুহূর্তে সে দেশের যা পরিস্থিতি, তাতে ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত প্রতিবছর আমেরিকার আর্থিক বৃদ্ধি ১.৯ শতাংশ করে কমবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তারপর থেকে প্রতিবছর ১.৬ শতাংশ করে আমেরিকার অর্থনৈতিক বৃদ্ধি কমতে পারে।তবে অর্থনৈতিক শক্তিবৃদ্ধির তালিকায় এই রদবদলের ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল জাপানের সেন্টার ফর ইকনমিক রিসার্চ। ডিসেম্বরের শুরুতে তারা জানিয়েছিল, ২০২৮ অথবা ২০২৯ সালের মধ্যেই আমেরিকাকে ছাপিয়ে যাবে চিন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন