মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের এক মানবাধিকার সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে এমনটাই। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সমাজকর্মীরাও একযোগে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, মায়ানমারে সেনার হাতে বন্দিদের মুক্তির দাবিতে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রেরিত এমনই এক সমাজকর্মী টম অ্যান্ড্রুজ এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের দাবে জানিয়ে আসছেন। তাঁর দাবি, জুন্টার অত্যাচারে ইতিমধ্যেই মায়ানমারের আড়াই লাখের বেশি মানুষ ঘরছাড়া হযেছেন। আর তাতে তিনি যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। এই মানবিক বিপর্যয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে।
ইতিমধ্যেই মায়ানমারের প্রতিবেশী দেশ ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ এশিয়ান নেশনস-এর ১০ সদস্যের একটি দল মায়ানমারকে এই সেনা অভ্যুত্থান থেকে বের করে আনার জন্য পথনির্দেশ দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু সেনার নীতির বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে না এই দলটি।
এই সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছিলেন মায়ানমার সেনার সিনিয়র জেনারেল মিন অং ল্যাং। তিনিই এই সেনা অভ্যুত্থানকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যদিও এই বিষয় নিয়ে মায়ানমারের পড়ে যাওয়া সরকারের সঙ্গে কোনওমতেই আলোচনায় বসতে রাজি নয় সেনা।
একটি সমাজকর্মী সংগঠন অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স জানিয়েছে, কমপক্ষে ৭৩৮ জন মানুষকে হত্যা করেছে মায়ানমার সেনা। ৩ হাজার ৩০০ জন মানুষকে শরণার্থী শিবিরে রাখা হয়েছে। যার মধ্যে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন