যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের ২৮ মিলিয়ন বা ২’কোটি ৮০ লক্ষ মানুষের জন্য অবিলম্বে জীবনদায়ী মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি রোজা ওতুনবায়েভা। যারা আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ।
নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে ওতুনবায়েভা বলেছেন, মানবিক প্রয়োজনের জন্য খরচ হবে ৪.৬২ বিলিয়ন ডলার। যা এখনও পর্যন্ত কোনো একক দেশের বৃহত্তম আবেদন।
আফগান জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক বা ২০ মিলিয়ন মানুষ ভয়াবহ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি। তিনি বলেন, ৬ মিলিয়ন মানুষ দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা থেকে এক ধাপ দূরে রয়েছে।
ওতুনবায়েভা আরও বলেন, "আফগানিস্তানের নিরাপত্তাজনিত পরিবেশের কারণে আমাদের মানবিক পদক্ষেপ ক্রমশই জটিল দিকে যাচ্ছে।"
বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) কর্মরত মহিলাদের বিরুদ্ধে তালিবান-চালিত প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাই দুর্বল জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানোর একমাত্র গুরুতর বাধা নয়। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, "রাষ্ট্রসঙ্ঘের জন্য কাজ করা আফগান মহিলাদেরও কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।”
ওতুনবায়েভা বলেন, মহিলাদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে নিষেধাজ্ঞার সাথে এই নিষেধাজ্ঞা আফগান জনগণের জন্য এবং তালিবান ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্কের জন্য গুরুতর পরিণতি ঘটাবে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি মহিলাদের কাজ করার অনুমতি না দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে "আফগানিস্তানের জন্য বরাদ্দ তহবিল হ্রাস পেতে পারে"।
ওতুনবায়েভা আরও উল্লেখ করেছেন যে ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে) এর ক্রমবর্ধমান হুমকির কারণে মানবিক সহায়তা ঠিকমত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না।
এই ধরনের হুমকি কমানোর জন্য বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রের আরও ঐক্যবদ্ধ মনোযোগ প্রয়োজন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন