তাঁরা দুই বোন। ছোটটি ১৬ বছরের। হবু স্বামী থাকেন ফ্রান্সে। সেই কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়েছে তালিবানরা। দুই বোনের একজনকে তালিবান যোদ্ধাদের সাথে বিয়ে দেওয়া হবে বলে। কোনও পরিবারে ২ জন মেয়ে থাকলে একজনকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে তালিবানরা।
সরকারি চাকরি করতেন বা করেন। অথবা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন বছর ৪-৫ আগে। এটাই সবথেকে বড় দোষ। তার মানে সরকারের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে একের পর এক ব্যক্তি খুন হয়ে যাচ্ছেন অবলীলায়। আর তা খাবার হয়ে যাচ্ছে কুকুরের।
এসব কোনও কাল্পনিক চিত্র নয়। সবটাই বাস্তব। বর্তমান ছবি আফগানিস্তানের।
সে দেশের প্রায় ৬৫ শতাংশ তালিবানদের দখলে চলে গিয়েছে। চলছে অরাজকতা, খুনখারাপি। ছেলে থেকে মেয়ে, শিশু থেকে কিশোরী-নিস্তার নেই কারুরই। মেয়েদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিয়ের জন্য। তালিবান–বধূ করার জন্যই চলছে অপহরণ।
এ তো গেল নাগরিকদের ওপর অত্যাচারের কাহিনী। এছাড়াও রয়েছে একের পর এক এলাকা দখল করে গোটা দেশ নিজেদের অধিকারে আনার চেষ্টা। প্রাদেশিক রাজধানী দখল করছে। সরকারি কর্তাদের খুন করছে তালিবানরা।
চলতি বছরের এপ্রিলে জো বাইডেন ঘোষণা করেন, আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা ধীরে ধীরে সেনা প্রত্যাহার করবে। ৩১ আগস্টের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হবে। সেই ঘোষণার পর থেকেই অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে তালিবানরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা উত্তরে বাঘলান প্রদেশের রাজধানী পুল–এ–খুমরি অধিকার করে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন