মাত্র এক সপ্তাহ আগেই কাবুলের দখল নিয়েছে তালিবানিরা। আর এই এক সপ্তাহের মধ্যেই বিক্রি বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে দাম বেড়েছে হিজাব এবং পাগড়ির। কাবুলের স্থানীয় ব্যবসায়ীমহল সূত্রে একথা জানা গেছে।
আফগান মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর অনুসারে, কাবুলে এখনও পর্যন্ত হিজাব বা পাগড়ি পরার বিষয়ে তালিবানিদের পক্ষ থেকে কোনো ফতোয়া জারি করা হয়নি। তবুও তালিবানিদের কাবুল দখলের পর থেকেই সাধারণ মানুষের একটা বড়ো অংশ পাগড়ি এবং হিজাব পরতে শুরু করেছেন।
কাবুলের এক হিজাব বিক্রেতা ফইজ আঘা পাজহোক আফগান নিউজের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, গত কয়েক দিনে উল্লেখযোগ্য ভাবে পাগড়ির বিক্রি বেড়েছে। এর আগে দিনে চার থেকে পাঁচটা হিজাব বিক্রি হত। কিন্তু তালিবানরা কাবুলের দখল নেবার পর গত কয়েকদিনে দিনে ১৫ থেকে ১৭টা করে হিজাব বিক্রি হচ্ছে।
অন্য এক বিক্রেতা নিয়ামতুল্লাহ জানান, হিজাবের বিক্রি বেড়ে যেতেই দামও বেড়ে। আগে হিজাব বিক্রি করতে হত ১০০০ আফগানিতে। সেখানে এখন প্রতিটি হিজাব বিক্রি হচ্ছে ১২০০ আফগানিতে। তিনি আরও জানান, তালিবানিরা কাবুলের দখল নেবার আগে দিনে ৬ থেকে ৭টা হিজাব বিক্রি হত। এখন আমি দিনে ২০টার বেশি হিজাব বিক্রি করছি।
কাবুলের এক পাগড়ি বিক্রেতা আবদুল মালিক জানিয়েছেন, তালিবানিদের আসার পরেই পাগড়ির বিক্রি বেড়েছে। আগে পাগড়ির মান অনুসারে প্রতিটি পাগড়ি বিক্রি হত ৩০০ থেকে ৩০০০ আফগানিতে। দিনে খুব বেশি হলে ৬ থেকে ৭টা পাগড়ি। এখন প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০টা করে পাগড়ি বিক্রি হচ্ছে।
কাবুল শহরের একাদশ পুলিশ জেলার বাসিন্দা খাজা আবদুল জব্বার জানান, তিনি তালিবানিদের ফিরে আসার পর আবার পাগড়ি পরতে শুরু করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যদিও এখনও পর্যন্ত তালিবানিরা কাবুলে পাগড়ি পরা নিয়ে কোনো ফতোয়া দেয়নি, কিন্তু তিনি নিজে থেকেই পাগড়ি পরা শুরু করেছেন।
স্থানীয় মহলের বক্তব্য অনুসারে, পোশাকের বিষয়ে তালিবানিরা এখনও পর্যন্ত কোনো ফতোয়া জারি না করলেও তাদের সরকার গঠনের পর এই বিষয়ে নির্দেশ জারি হবার সম্ভাবনা প্রবল।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন