তালিবানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখাতে আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে জাতীয় পতাকা হাতে আজ রাস্তায় নেমেছিলেন বহু আফগান। রক্ত দিয়ে এই প্রতিবাদের মূল্য চোকাতে হয়েছে তাঁদের। বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে তালিবানরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে তালিবানদের গুলিতে।
১৯১৯ সালে আজকের দিনেই ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতা পেয়েছিল আফগানিস্তান। তাই তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আজকের দিনটিকেই বেছে নিয়েছিলেন আফগানরা। লাল-সবুজ-কালো রঙের জাতীয় পতাকা হাতে রাজধানী কাবুল সহ একাধিক প্রদেশে পথে নেমেছিলেন বহু নারী ও পুরুষ।
মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, পতাকা নেড়ে নেড়ে তাঁরা স্লোগান দিচ্ছেন "আমাদের পতাকা, আমাদের পরিচয়।" বিভিন্ন জায়গায় উড়তে থাকা তালিবানদের সাদা পতাকা টেনে ছিঁড়ে ফেলে দিচ্ছিলেন তাঁরা।
রাজধানী কাবুলে বিক্ষোভকারীদের ওপর তালিবানরা সেভাবে কোনো আক্রমণ না করলেও পূর্বাঞ্চলীয় কুনার প্রদেশের রাজধানী আসাদাবাদে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছে তালিবানরা। এক প্রত্যক্ষদর্শী মহম্মদ সেলিম মিডিয়াকে জানিয়েছেন, বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে কতজন গুলিতে নিহত হয়েছেন এবং কতজন গুলি চলার ফলে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়।
সেলিম জানিয়েছেন, "কয়েকশ মানুষ পতাকা হাতে রাস্তায় নেমেছিলেন। আমি প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম, যেতে চাইনি। কিন্তু যখন দেখলাম আমার এক প্রতিবেশী বিক্ষোভে যোগ দিতে যাচ্ছেন, তখন আমিও আমার বাড়িতে থাকা পতাকাটি নিয়ে বিক্ষোভে যাই।" তিনি বলেছেন, তালিবানদের চালানো গুলিতে এবং পদপিষ্ট হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহতও হয়েছেন বহু।
বুধবার এই পূর্বের আর এক শহর জালালাবাদে জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করেছিলেন নাগরিকরা। সেই মিছিলেও গুলি চালিয়েছিল তালিবানরা। ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল গতকাল। আজ সেই জালালাবাদেও জাতীয় পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন নাগরিকরা। আজও বিক্ষোভে গুলি চালিয়েছে তালিবানরা। যদিও আজকের ঘটনায় কেউ নিহত হননি।
পাকতিয়া, খোস্ট সহ একাধিক শহরে তালিবানদের বিরুদ্ধে আজ পথে নেমেছিলেন বিক্ষোভকারীরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন